বরগুনা তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের
সওদাগরপাড়া গ্রামের একটা আশ্রয় কেন্দ্র ঝূকিপূর্ণ
বাসা বাঁধছে মৌচাক।জানা গেছে,উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নেরসওদাগর পাড়া গ্রামের একটি মাত্র ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয় কেন্দ্র।আশ্রয় কেন্দ্রটি অনেক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রটির চারপাশে মৌচাকে বাসা বাঁধছে।
সেই ভয়াল ২০০৭সালের ১৫নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরে ওই আশ্রয় কেন্দ্রটি ২০০৮ সালের দিকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি নামের সংস্থা আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,আশ্রয় কেন্দ্রটির চার-দিকের কার্জিন, বারান্দার দেয়াল, দরজার উপরের অংশ কোন জায়গা ফাঁকা নেই, সবখানেই ঝুঁলছে মৌচাক।দূর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রটি দেখলে মনে হয় মৌমাছির আশ্রয় কেন্দ্র।আশ্রয় কেন্দ্রটির চারপাশে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর।আশ্রয় কেন্দ্রটির নিচে অবাধে গরু বাধা থাকে।গরু বেধে রেখে গো-খাদ্য খাওয়ায় এবং বিভিন্ন প্রকারের খড়-কুটাসহ লাকরি থাকে।মৌমাছিগুলো উড়ে গেলেও পরে আবার নতুন করে দেয়ালে বসতে থাকে।
স্থানীয়রা জানান,মৌচাক নষ্ট করায় মৌমাছিরা তাদের আবাস, বাচ্চা ও মধু হারিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে এবং যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে।আশ্রয় কেন্দ্রটি অনেক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।রেডক্রিসেন্ট সংস্থা নির্মাণ করা হলে ও আজ তো পর্যন্ত আর মেরামত করা হয় নি।ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আমরা জিবনের ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি।এভাবে প্রায় অর্ধশত মৌচাক বাসা বেঁধে থাকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সারারাতটি আমরা মৌমাছি এবং আশ্রয় কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছি।মৌ পোকার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক মানুষ যায় নি।নেই কোনো বিদ্যুৎ বা সৌরের ব্যবস্থা। ভিতর চালের ড্রামে অনেক জায়গায় দখল করে আছে।দুর্যোগের আগে সংশ্লিষ্ট কেউ সেখানে যায়নি পরিষ্কারও করেননি। মৌমাছি ও মৌচাক অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলার সিপিবি টিম লিডার মো.আলতাফ হাং
বলেন,আমি বিষয়টা জেনেছি তবে অচিরেই মৌচাক
অপসারণ এবং আশ্রয় কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ উর্দ্বতন
কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো.আসাদুজ্জামান বলেন,সওদাগরপাড়া গ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রটি ঝূকিপূর্ণ কিনা আমি সরেজমিনে গিয়ে না দেখে বলতে পারব না।