দেশের হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের বেড ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট বলেছেন, সবকিছু যদি ঠিকভাবে মনিটরিং করা হয় তাহলে রোগীরা কেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালের রাস্তায় ঘুরছে?
বুধবার (১০ জুন) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার আদালতে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুম থেকে সবকিছুই মনিটরিং করা হচ্ছে।
তখন আদালত বলেন, যদি মনিটরিং করা হয় তাহলে মানুষ হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছে কেন? এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান।
এর আগে ৭ জুন সারাদেশে আইসিইউর কেন্দ্রীয় মনিটরিং আছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত।
এর আগে ৬ জুন করোনাকালীন সময়ের জন্য দেশের সকল প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউসমূহকে সরকারকে অধিগ্রহণের নির্দেশনা দিতে রিট দায়ের করা হয়। রিটে করোনা মোকাবেলায় অনলাইনে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার ডা. আব্দুল আল মামুন এর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান এ রিট দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান বলেন, করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এরই মধ্যে ভারতের তিনটি প্রদেশে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুসারে প্রাইভেট হসপিটাল সমূহ অধিগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশেও সকল প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউসমূহ অধিগ্রহণ করতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি। একই সঙ্গে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো বিষয়টি হলো- সারাদেশে কোন হসপিটালে কয়টি বেড খালি আছে। কোথায় খালি নেই, তার সব তথ্য এক জায়গায় থাকবে। এ ব্যবস্থা চালু থাকলে রোগী ভর্তির পূর্বেই জানতে পারবে কোথায় বেড খালি আছে। এতে করে রোগী নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে না।
স্বাস্থ্য সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।