ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়নের প্রতিবাদে কয়েকদিন থেকে উত্তাল সারা দেশ. উত্তাল ঠাকুরগাঁও জেলা। সারা দেশের ন্যায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ফুসে ফেঁপে উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বস্তরের মানুষ। গত কয়েকদিন থেকে চলছে জেলাজুড়ে নানা কর্মসূচী।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে শহরের চৌরাস্তায় ধর্ষণ নিপীড়ন বিরোধী প্রগতিশীল ছাত্র-জনতার ব্যানারে প্রতিবাদী সমাবেশ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
‘‘নিশ্চুপ থাকা নয় এসো প্রতিবাদে সোচ্চার হই’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে উক্ত প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও জেডিসির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজয়ানুল হক রিজু, তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ জেলা আহবায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম রুবেল, উপজেলা বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি আহসানুল হক বাবু, উদীচীর সহ-সভাপতি এমএস আহম্মেদ রাজু, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।
প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু নোয়াখালির নারী নির্যাতন নয়, প্রতিটি জেলার আনাচে কানাচে যে সব ধর্ষণ সংগঠিত হয়েছে সেসব ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার করতে হবে। তা না হলে কখনই ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব না। আমরা বিশ্বাস করতে চাই দেশের বিচার বিভাগ এখনো জাগ্রত। ধর্ষকদের বিচারের আওতায় এনে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর দাবি করেন বক্তারা।
বিক্ষুব্ধ বক্তারা আরও বলেন, আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি সারা দেশের যেখানে সেখানে ধর্ষকদের মদদ দাতারা এমন মহৎ আন্দোলনে বাঁধা প্রদান করছেন। যা অত্যন্ত ঘৃন্য ও জঘন্যতম অপরাধ। যদি নারীকে ধর্ষকের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে এমন ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বাঁধা প্রদান করা হয় তাহলে তা প্রতিহত করা হবে এবং প্রতিটি ধর্ষককের সাথে জড়িত মদদ দাতাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি না দেওয়া হলে আরও দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ সময় নারীকে ধর্ষকের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে সারা দেশে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে উঠেছে তাতে দেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে সামিল হতে আহ্বান করেন বক্তারা।