1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত নগরী

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০
  • ১৭৯

অমাবশ্যার প্রভাবে বরিশাল নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তনখোলা নদীর পানি গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কীর্তনখোলার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বরিশাল নগরীর অধিকাংশ এলাকা। মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবক’টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আবারও।

এর ফলে মেঘনা তীরবর্তী উপজেলা মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী উপজেলার দুই-তৃতীয়াংশ জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই তিন উপজেলার চরাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার।

ভেসে গেছে ওইসব এলাকার মাছের ঘের। এর আগে পূর্ণিমার প্রভাবে গত ৫ ও ৬ আগস্ট একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, অমবশ্যার প্রভাবে সাগরে অস্বাভাবিক জোয়ার এবং উজানের পানি মেঘনার দিকে প্রবাহিত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

নগরী-সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বুধবার বিকেল ৫টায় বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তখনও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। একই সময়ে মেঘনায় বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর অবস্থা একই বলে পাউবোর এ প্রকৌশলী জানান।

বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে বিকেল ৪টার দিকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা ড্রেন দিয়ে পানি ঢুকে ডুবে যায় নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোডের একাংশ। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অশ্বিনী কুমার হল এলাকা ও তার আশপাশের সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়।

পানি প্রবেশ করেছে অনেক বসতবাড়িতেও। নগরীর নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত কীর্তনখোলার তীরের জনপদ সাগরদী ধান গবেষণা সড়ক, পূর্ব রূপাতলী, জাগুয়া, ভাটিখানা, নিউ ভাটিখানা, আমানতগঞ্জ, রসুলপুর, পলাশপুরসহ আরও অনেক এলাকা হাঁটু পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সর্বাধিক সংকটে পড়েছে কীর্তনখোলা তীর-সংলগ্ন রসুলপুর, কলাপট্টি, পলাশপুর, বরফকল ও স্টেডিয়াম বস্তির বাসিন্দারা।


মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী ইউসুফ সৈকত জানান, উপজেলা সদরের কিছু এলাকা ছাড়া গোটা উপজেলা হাঁটু পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

একই অবস্থার কথা জানান হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। মেঘনা তীরবর্তী এ দুই উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে অসংখ্য নদীর চ্যানেল ও খাল। যার সবক’টির সংযোগ মেঘনার সঙ্গে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪