1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

অভয়নগরে অবৈধ ১০ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সিলগালা

  • সময় : মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০
  • ১৬১



যশোরে অভয়নগর উপজেলায় অবৈধ ১০ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আরও ৪ টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


সিলগালা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো স্বপ্নের সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পপুলার মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আলমদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল এনড কম্পিউটারাইজডের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আরোগ্য সাধনের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পালস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবওয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নওয়াপাড়া ক্লিনিকের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ারের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফয়সল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

এছাড়া এলবি ক্লিনিক আরোগ্য সাধন হাসপাতাল পাল্স হাসপাতাল ও নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন। এরমধ্যে এছাড়া লাইসেন্স নবায়ন ও অন্যান্য ত্রুটি সংশোধনের জন্য করতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হবে।


প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন, সিলগালা করা ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ল্যাব ডায়াগনস্টিক, আলমদিনা ডায়াগনস্টিক , আরোগ্য সাধন ডায়াগসন্টিক, পপুলার মেডিকেল , ল্যাবওয়ে ডায়াগনস্টিক, নওয়াপাড়া ডায়াগনস্টিক, লাইফকেয়ারের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। তারা লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদনও করেননি।বাকিগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন করা হয়নি ।


পুরো অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো চালানো হচ্ছিলো। অভিযানের সময় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলোতে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ,সেবিকা ও টেকনিশিয়ান পাওয়া যায়নি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছিলো। এছাড়া মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ ওষধ ও ব্যবহৃত ইনজেকশন যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে।


সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, অভিযান পরিচালনার সময় লাইসেন্স না থাকার পাশাপাশি নানা অনিয়মের চিত্র চোখে পড়েছে। যে কারণে অবৈধ ১০ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৪টিকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অভিযানে টিমে ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আলী,

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রহমান রিজভী, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান। অভিযানে অভয়নগর থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪