1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সাভারের আলোচিত ডাকাত সর্দার লেগুনা আপেল গ্রেপ্তার আমরা ‘হানাহানি-বিদ্বেষমুক্ত একটা শান্তির দেশ চাই’- সেনাপ্রধান বাংলাদেশে মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত পরিবর্তিত হলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম দেশব্যাপী আজ শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে- ডিএমপি কমিশনার আগামী ২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রবাসীদের ভোটিংয়ের জন্য একটি কার্যকরী উপায় খুঁজছে কমিশন- সিইসি

“আমাদের জন্য এ এক বিরাট লজ্জা এবং কস্টের – ড. ইনামুল হক “

  • সময় : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
  • ১১২৬

আজ ১৫ অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী। আমাদের আজকের অতিথি অভিনেতা, নির্দেশক, মঞ্চের জন্য নিবেদিত প্রাণ, একজন সংগঠক অনেক গুনে গুণান্বিত মানুষ আমাদের সবার প্রিয় মানুষ ড. ইনামুল হক স্যার।

শান্ত: স্যার কেমন আছেন?
ড. ইনামুল হক: ভালো আছি শারিরীক ভাবে সুস্থ আছি।

শান্ত: স্যার আজ ১৫ অগাস্ট বাঙালির জীবনে এক কালো অধ্যায়। যে মানুষটি বাংলাদেশের স্থপতি সেই মানুষ টিকে আমরা সপরিবারে নৃশংস ভাবে হত্যা করলাম।

ড. ইনামুল হক : তুমি ঠিকই বলেছো। আমাদের জন্য এ এক বিরাট লজ্জা এবং কস্টের । যে মানুষটি বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি মানচিত্র উপহার দিল সেই মানুষটিকেই আমরা পুরো পরিবারের সদস্যসহ হত্যা করলাম। এবং ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ তুমি যদি দেখ যে আমাদের আশে পাশের অনেক মানুষ তাদের চরিত্র আদর্শ পরিবর্তন করে রাতারাতি বিপুল বিত্তশালী হয়ে উঠলো। তারা সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটির কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির কথাই বেশি ভাবলো। কেউ কেউ যে এর ব্যতিক্রম ছিলনা এমন নয় তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে জাতির জনকের উত্তর সুরী দুই কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওনার ছোট বোন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন এবং সেই কারনে এখনো আশায় বুক বাঁধি। একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে দেখ যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব না নিতেন তা হলে দেশ কোথায় যেত। কি অবস্থা হতো। একটি অকার্যকর রাস্ট্র হিসেবে এতদিন পরিনত হতো। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং আদর্শ বুকে ধারণ করে দৃঢ় চিত্তে তিলে তিলে দেশকে আবার গড়ে তুলছেন।

শান্ত: স্যার আপনি কি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন?

ড.ইনামুল হক: হ্যা। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি যে আমি ওনার মত মানুষের সান্নিধ্য লাভ করেছিলাম। তার আদর্শের গড়া সংগঠন করেছি আমরা তখন। তিনি কোন কিছু জোর করে আমাদের উপর চাপিয়ে দেননি আমরা বিচার বিবেচনা করে উনার কথা আমরা অনুধাবন করেছি। তোমাদের প্রজন্ম দুর্ভাগা যে এমন মহান নেতা কে তোমরা পাওনি। উনি সেই সময় স্বপ্ন দেখতেন বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের মত হবে। সৌন্দর্যে, মানবিকতায়, সাম্যবাদে। তখন সুইজারল্যান্ড সারা পৃথিবীতে এক আদর্শ রাস্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন বাংলাদেশ একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে সবাই সমান অধিকার পাবে। যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তবে অবশ্যই তার সোনার বাংলা তিনি গড়ে তুলতেন।

শান্ত : স্যার সত্যি আমরা দুর্ভাগা প্রজন্ম যে আমরা বঙ্গবন্ধুর মত নেতাকে পাইনি। কিন্তু ৭৫ পরবর্তীতে আমরা যে ভুল ইতিহাস জেনে বড় হয়ে উঠলাম তার দায়ভার কি তৎকালীন সরকার তথা যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেছেন তাদের উপর অনেকটাই বর্তায় কি না?
ড. ইনামুল হক : অবশ্যই সেই দায় ভার আমাদের প্রজন্মের যে তোমাদের আমরা সঠিক ইতিহাস জানাতে পারিনি। তার বিভিন্ন কারন ছিল আমাদের মাঝে অনেকেই বিভিন্ন ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। তারা বিভিন্ন লোভ লালসার জন্য পথ ভ্রষ্ট হয়েছে। যারা তখন গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন তারা ও বিভিন্ন কারনে তখন চুপ ছিলেন। এ নিয়ে আমার লেখা বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত নাটক “সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে ” দেখলেই বুঝতে পারবে। এটি বই আকারে ও বের হয়েছে পড়লেই বুঝতে পারবে। আমি চার পাশের অবস্থা দেখলে মাঝে মাঝে হতাশ হলেও বিশ্বাস করি তোমাদের প্রজন্মই আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে হয়ত একটু সময় লাগবে কারন দীর্ঘদিন ভুল জেনে যে প্রজন্ম বড় হয়ে উঠেছে তার শেকড় সমাজের অনেক গভীরে প্রোথিত হয়েছে সেই যায়গা থেকে বের হয়ে আসতে একটু সময় লাগবে।

শান্ত: স্যার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মঞ্চ, টেলিভিশন, সিনেমা, গানে সেই পরিমান কাজ কি হয়েছে? যা দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঠিক ভাবে ধারণ করতে পারবে?

ড. ইনামুল হক: ৭৫ পরবর্তী একটা বিশাল সময় গিয়েছে যখন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, সাম্রদায়িক শক্তি ক্ষমতাসীন ছিল সেই কারনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সঠিক ইতিহাস নির্ভর কাজ কম হয়েছে তবে এখন হচ্ছে। সামনে আরও হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই কাজগুলো সর্ব সাধারনের কাছে পৌছে দেয়া। তোমাদের প্রজন্মের কাজই হলো এইকাজ গুলো সর্বস্তরে পৌঁছে দেয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪