ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ভাটদি বাজার থেকে মুজুরদিয়া পাকা রাস্তার ভাটদি বাজারের মধ্যে ৩০০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের অভাবে জনসাধারনের দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানি বেধে চলাচলের অনপযোগী হয়ে পড়ে। কোন ধরনের যান বাহন চলাচল করতে পারে না। এ ছাড়া এই বাজারের মাছ বাজারে যাওয়া যায় না।
মাছ বাজারের সাথে রয়েছে একটি মন্দির। হিন্দু সম্প্রদয়ের মানুষ ওই মন্দিরে বিভিন্ন পূজা করে আসছেন। বর্তমানে মাছ বাজারে পানি কাদা বেধে যাওয়ায় কেউ মন্দিরে যেতে পারছে না। রাস্তা ও মাছ বাজার সংস্কারের একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাজারের রাস্তার দু পাশ দিয়ে রয়েছে প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কাদা পানি বাধার কারনে ওই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাজারের ভিতরের রাস্তা টুকুু সংস্কার না করলে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তায় পানি কাদা বেধে যাওয়ায় আমরা দোকান থেকে বের হতে পারি না। পানি কাদা থাকায় দোকানে কেউ আসে না।
বনিক সমিতির সভাপতি ও বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর ধরে রাস্তায় কাদা পানি কেধে আসছে। অনেক জায়গায় দৌড়ঝাপ করেছি রাস্তা সংস্কারের জন্য কোন লাভ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে তাতেও কোন লাভ হয়নি। স্থানীয় এমপি মুনজুর হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পর একবার ভাটদি বাজারে এসেছিলেন তাকে বলেছিলাম এমপি বলেছিলেন আমি দ্রুত রাস্তা ঠিক করে দেব। তার পর আর কোন খোজ খবর নেন নাই।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বাজারের এই ৩০০ মিটার পাকা রাস্তায় সংস্কারের অভাবে পানি কাদা বাধায় রাস্তার দুপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পথে। পথচারীরা পায়ে হেটে যেতে পারে না। যন বাহন তো চলতেই পারে না। মাছ বাজারের কাদা পানির জন্য ঢুকা যায় না। আমি অনেক দিন ধরে রাস্তা ও মাছ বাজার সংস্কার করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছি তাতে কোন লাভ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি সে আমাকে বলেন সরজমিনে দেখে কি করা যায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী একে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ওই টুকু রাস্তার বিষয়টি শুনেছি। ইউএনও স্যার আর আমি সরজমিনে গিয়ে দেখবো কি করা যায়।