1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীতে করোনার মধ্যে খাস জমিতে পাকা ঘর নির্মাণের উৎসব

  • সময় : বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০
  • ৩৩৯

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজীখালী বাজারে সরকারি জমি দখল করে দলিল লেখক শানু গাজীর বিরুদ্ধে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন সেখানে নির্মাণকাজ বন্ধ করে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।


গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীখালী বাজারের পূর্ব পাশে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ সরকারি জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। জমির চারপাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে রড ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী। শ্রমিকেরা বলেন, কাজ দেখভাল করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজনকে। দুই সপ্তাহ আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ জমি সম্পুর্নই খাস জমি। এখানে কোন ব্যাক্তি মালিকানা জমি নেই। এমনকি শানু গাজীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও স্বীকার করেন যে এটা খাস জমি। স্থাপনা নির্মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কেন সদুত্তর দিতে পারেন নি। অন্য দিকে স্থানীয়রা আরও বলেন বাজারের প্রায় সকল পাকা দোকান ঘরগুলো সরকারি খাস জমিতে নির্মিত। প্রথমে প্রশাসনের বাধা লক্ষ করলেও পরবর্তিতে অদৃশ্য কারনে সে বাধা না থাকার সুযোগে ক্ষমতার দাপটে পাকা স্থাপনা নির্মান হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালও রেহাই পাচ্ছেনা দখলদারদের কারনে।


সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি হাটবাজার, খরস্রোতা খাল ও জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সরকারি হালট ও অর্পিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত কিংবা এক বছরের জন্য ডিসিআর দেওয়ার কোনো বিধান নেই। উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে সংরক্ষিত কাগজপত্র অনুযায়ী সরকারি নীতিমালাকে উপেক্ষা করে সে কাজটিই করার চেষ্টা করেছেন শানু গাজী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, হাটবাজারের জায়গা দখল করে পাকা স্থপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ জায়গার অভাবে কাঁচাবাজার, ফল, দুধ ও পানের দোকান নিয়ে রাস্তার ওপর বসতে হয়।এছাড়া তিনি এলাকায় জমি জমার শালিশ ব্যাবস্থা করায় মুখ খুলছেন না কেউ। মুখ খুললে সমস্যা হতে পারে বলে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়ে বলেন সদর উপজেলায় এহেন কর্মের কোন সুযোগ নেই। কিছুদিন আগে বোতলবুনিয়া স্কুলের সামনে জনৈক এক ব্যাক্তি পাকা স্থপনা নির্মান করতে গেলে আমরা তা গুড়িয়ে দিয়েছি। সরকারি হাটবাজার, খরস্রোতা খাল ও জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সরকারি হালট ও অর্পিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত কিংবা এক বছরের জন্য ডিসিআর দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪