1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁও জেলায় হরিপুরে ভারী বর্ষণে ঐতিহ্য বাহী জমিদার বাড়ির ভবনের ধস

  • সময় : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০
  • ২৫২

ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলায় অবস্থিত রাঘবেন্দ্র জমিদার বাড়িটি যত্ন আর সংস্কারের অভাবে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ভবনের অংশ ধস।১৪০০ খ্রীঃ পূর্বে মুসলিম শাসনামলে হরিপুর উপজেলার খোলড়া পরগনার অন্তগত ছিল ।

মেহেরুন্নেছা ওরফে কামরুন নাহার নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলার ওপর ছিল এ পরগনার জমিদারি । খাজনা অনাদায়ে জমিদার মেহেরুন্নেছার জমিদারির অংশবিশেষ নিলামে উঠলে কাপড় ব্যবসায়ী ঘনশ্যাম কুণ্ডু তা কিনে নেন ।ঘনশ্যাম কুণ্ডুর পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায়।

তিনি ১৮৯৩ সালে রাজবাড়ীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন । তার পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে রাজবাড়ীর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।ভবনটির পূর্ব পাশে শিব মন্দির ও মন্দিরের সামনে নাট্যশালা ছিল । এখানে একটি বড় পাঠাগারও ছিল। রাজবাড়ীর সামনে ছিলো সিংহ দরজা, আজ সেই সিংহ দরজা আর নেই ।

১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হয়ে গেলে হরিপুর রাজবাড়ীও দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পরে।রাঘবেন্দ্র নারায়ন ও জগেন্দ্র নারায়ন রায় কর্তৃক রাজবাড়ীটি বড় তরফের রাজবাড়ী নামে পরিচিতি পায়। এ রাজবাড়ীর পশ্চিমে নগেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও গিরিজা নারায়ন চৌধুরী ১৯১৩ সালে আরেকটি রাজবাড়ী নির্মান করেন। যার নাম ছোট তরফের রাজবাড়ী ।

হরিপুরের এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীটি সংস্থারের অভাবে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে । বর্তমানে পরিত্যক্ত এ রাজবাড়ীর বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন অফিস ও বাসা বাড়ী হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তি বলেন, হরিপুর রাজবাড়ী দুটি এ এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ছিল ।

একটি ইতিপূর্বে বিলিন হয়ে গেছে , এখন যেটি ছিল তাঁও ধংসের পথে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে এটি সংস্কার করা উচিত ছিল, কিন্তু প্রশাসনের অবহেলা কারণে আজ ধংস। আজ ১৩-৭-২০২০ ইং গত কয়েক দিনের বর্ষণে কারণে ভবনে পশ্চিমে অংশ ধসে পরে। আর হয়তো কোন দিন রাজবাড়িটির আসল রুপ ভবিষ্যৎ বংশধর কেউ দেখতে পাবে না।আজ হরিপুর উপজেলার হতবাক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল করিমকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ হতে সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেওয়ার জন্য, উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করণে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আদেশ পেলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে থাকার কারণে আমরা সংস্কার করতে পারি নাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪