রাজাপুরে গত বছর ঘূর্ণিঝড় ফণিতে ভেঙে পড়া স্কুলটি আবারও নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়েছে । আগেই কয়েকটি কক্ষ নদীতে বিলিন হওয়ার পর এবার স্কুলটি গ্রাস করতে বসেছে বিশখালির তীব্র বিষ। সম্প্রতি আম্পানেও ঝালকাঠির রাজাপুরের এই ঐতিহ্যবাহি মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।বিদ্যালয়টি বাদুরতলা বাজারে অবস্থিত হওয়ায় এটি বাদুরতলা স্কুল নামে পরিচিত। গত বছর ফণির প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সময় বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের অংশটি মালামালসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পূর্ব পাশের কয়েকটি রুম ও বারান্দা বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো সময় পুরো বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশেই রয়েছে জামে মসজিদ । এদিকে গত কয়েক বছেরে বাদুরতলা বাজারের অর্ধশত দোকান, বসতঘর ও গাছপালাসহ কয়েক শ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভিটা মাটি হারিয়ে অনেকে পথে বসেছেন।
বর্তমান বর্ষায় বিশখালির ভাঙনে পড়েঝে বাদুরতলা লঞ্চঘাট, বাদুরতলা বাজার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশের সড়ক শতাধিক বসতবাড়ি, একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাদুরতলা জামে মসজিদ এবং বড়ইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।বাদুরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইউব আলী বলেন, বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য একাধিকবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় বিদ্যালয়টি রক্ষা করা আর সম্ভব হবেনা বলে মনে হচ্ছে।মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার বলেন, ‘বিদ্যালয়টি বাঁচাতে ও বিশখালির ভাঙন রোধে বহুবার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছি। তবে দুঃখের বিষয়, এখনো কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়টি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অর্থাভাবে তা এখনো সম্ভব হয়নি।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার জানান, ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রকৌশলী পাঠিয়ে পরিদর্শন করানো হয়েছে এবং ম্যানেজিং কমিটিকে রেজুলেশন করে ভাঙনের মুখে ভবনটি নিলাম দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভাঙা বিদ্যালয়টির নিলাম এবং বিদ্যালয়ের জন্য নতুন জায়গা খুঁজছি, জায়গা পেলেই বিদ্যালয় স্থানান্তরের কাজ শুরু করব।