নিজস্ব প্রতিবেদক
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় চর ঈশ্বর, নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়নের কিছু অংশে অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়িবাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে বেড়িবাঁধ ছিঁড়ে না গেলেও কয়েকটি এলাকায় এক-তৃতীয়াংশ বাঁধ ভেঙে গেছে, যেকোনো মুহূর্তে স্বাভাবিক জোয়ারেও ভেঙে যেতে পারে বাকি অংশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙা অংশটুকু মেরামত না করলে ক্ষতির মুখে পড়বে বেড়িবাঁধের ভিতরের বসবাস করা প্রায় ২০ হাজার পরিবার।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় ৩/৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ার হয়। সাথে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস ছিলো। পূর্ব দিক থেকে ৩/৪ ফুট উচ্চতার জোয়ারের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরঈশ্বর ইউনিয়নের নলচিরা ঘাট থেকে বাংলা বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের প্রায় অর্ধেক।
চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের বাসিন্দা মহব্বত হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধের বাইরে জোয়ারে বসতঘর ভেঙে নিয়ে যায়। আমাদের এখন দেখার কেউ নাই। কিভাবে ঘর-দুয়ার মেরামত করব, কার কাছে যাব, আমাদের পাশে কেউ নাই।
হামিদুল্লাহ গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ জোয়ারের আঘাতে বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় একফুট বা তার চেয়ে কম অবশিষ্ট আছে। ভেঙে ক্ষতি গ্রস্ত বেড়বাঁধ জরুরিভাবে মেরামত না করলে হাজার হাজার বসতি জোয়ারে ভেসে যাবে। মাঠে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আমার দেশকে জানান, হাতিয়ায় জোয়ারে কয়েকটি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে চরঈশ্বর, নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ইউনিয়নে নদীর তীরে থাকা বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানিতে ধসে গিয়ে বহুলাংশে চিকন হয়ে পড়েছে। এছাড়া আমরা নিঝুমদ্বীপসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তালিকা ভুক্তির কাজ করছি। ইতোমধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বেড়িবাঁধ মেরামতসহ ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।