স্বরূপকাঠিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা রজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানায় ধর্ষিতার পিতা দ্বীন ইসলাম শেখ বাদী হয়ে ধর্ষক খায়রুল ও তার দুই সহযোগীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষিতার মেডিকেল করানোর জন্য পিরোজপুর সিভির সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।
বিবরনে জানাগেছে, উপজেলার উত্তর করফা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের নবম শ্রেনীর ওই মাদ্রাসা ছাত্রী লেখা-পড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশি সাইদুলের বাসায় কাজ করত। সাইদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার খায়রুল তাকে প্রায়ই কু প্রস্তাব দিত। বিষয়টি সাইদুলের স্ত্রী নাসরিনকে জানালে তিনিও খাইরুলের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন প্রকারে প্রলোভন দেখাত।
ঘটনার নাসরিন তার স্বামী বাড়ী নেই বলে তার কাছে থাকার জন্য বলেন। ছাত্রীটি রাজি হয়ে ওই বাড়ী গেলে সেখানে খাইরুলকে দেখেতে পায়। খাইরুল একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে বাগানে নিয়ে হাতপা বেধে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। পরে সাইদুল এসে হাতপা খুলে দেয়। এসময় নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে এমন ক্ষতি কেন করলেন বলায় সে বলে তোকে ও বিয়ে করবে। কাজেই একথা কাউকে বলিস না। পরে নাসরিন ও তার স্বামী সাইফুলই সব কথা ফঁাস করে খায়রুলের কাছে টাকাও নেয়।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মিমাংসার নামে দুই মাস সময় অতিবাহিত করেন। বার বার বৈঠক কওে ২৭ জুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ছাত্রীর পরিবার তাতে হওয়ায় পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। মামলার বিষয়টি ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন একটি ধর্ষনের ঘটনা মিমাংসা করা বা কাল ক্ষেপন করা বেআইনী। ভিকটিমকে মেডিকেল করানোর জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।