ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ৩ নং কুশনা ইউনিয়নের হরিন্দীয়া গ্রামে সিরাজুল ইসলাম মাষ্টারের নামে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠার পর ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও এখনো কোন প্রতিকার পায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সিরাজ মাষ্টার সরকার দলীয় সমর্থক হওয়ায় পুলিশ তাকে ধরছেন না। হরিন্দীয়া গ্রামের হত দরিদ্র ভ্যান চালক তাহাজ্জেল ইসলামের মোছাঃ তানজিলা খাতুন (১৪)।অভাব অনটনের সংসার হওয়ায় মেয়েকে মাষ্টারের বাসায় মাসিক বেতনে কাজের জন্য দেয়। সেই সুবাদে মাষ্টার বেশ কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এ ব্যাপারে তানজিলা বলেন,আমি দীর্ঘদিন সিরাজুল মাষ্টারের বাসায় কাজ করি, আজ থেকে বিগত ছয় মাস ধরে সিরাজুল মাষ্টার আমাকে কু-প্রস্তাব দেন। যখনি বাসা ফাঁকা পায় তখনি পিছন দিক থেকে আমাকে জাপটে ধরেন, আমি চিৎকার করতে গেলে,আমার মুখ চেপে ধরে,এবং বলেন আমি যদি বিষয়টি কাউকে জানাই আমাকে মেরে গুম করে দেবে।
তবে ঘটনাটি সিরাজুল মাষ্টার এর স্ত্রী মিসেস মনজুরা বেগমকে জানালে, তিনি বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেন।কিন্তু আমি আমার বাবা মাকে সব বলে দেই। মেয়েটির বাবা মোঃ তাহাজ্জেল হোসেন বলেন, মেয়ের মুখে ঘটনাটি শুনে,মাষ্টারের কাছে জানতে চাইলে উল্টো মারমুখি আচরণ করেন।
তাই আমি বিচারের আসায় কোটচাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করি,কিন্তু অভিযোগের ১৪/১৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
কারন আমি গরিব,আমার টাকা নেই।মাস্টার এলাকার প্রভাব শালী হওয়ায় ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না বলে তিনি জানান। তবে এই বিষয়ে মাস্টার সাহেব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান মেয়েটি আমার বাসায় দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করে,এসব অভিযোগ মিথ্যা,ভিত্তিহীন। অভিযোগ এর তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন,তাহাজ্জেল পুলিশের ব্যাপারে যা বলেছেন, তা পুরোপুরি সত্যি না,আমাদের কোন অবহেলা নেই।
বিষয়টি তদন্তের প্রয়োজনে তাহাজ্জেলের বাড়ি যেয়ে কাউকে পাইনি। তাই আমরা পুনরায় বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম প্রতিবেদককে জানান,ভুক্তভোগী পরিবার একটা লিখিত অভিযোগ করেছে তদন্ত চলছে। তদন্তে মাষ্টার দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।