স্টাফ রিপোর্টার-
আন্দোলন-সংগ্রামে, লাখো বলিদানে লাল-সবুজ পতাকার গৌরব দেহমনে মেখে ও বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। এতে সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টায় আয়োজনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী।
প্রায় ৫০ মিনিটের এই আয়োজনে পরিবেশিত হয়েছে নৃত্যসহ ৮টি সম্মেলক গান। এরমধ্যে রয়েছে,’ও আমার দেশের মাটি’, ‘আজি রক্ত নিশি ভোরে’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘এই না বাংলাদেশের গান গাইতে রে দয়াল’, ‘লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘আরে ভালো ভালো ভালোরে ভাই’ এবং ‘কারার ওই লৌহ কপাট’।
দেশাত্মক বোধক গানগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, গোবিন্দ হালদার, আবদুল লতিফ, মোহাম্মদ মোশাদ আলী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং গুরুসদয় দত্তের রচনা থেকে।
আবুল কালাম আজাদ একক কণ্ঠে পরিবেশন করেন শাহ আবদুল করিমের গান— জীবন আমার ধন্য যে হায়। সৈয়দ শামসুল হকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কাব্য নাটকের নির্বাচিত অংশ উপস্থাপন করেছেন ত্রপা মজুমদার। সবাই মিলে দেশের গান গাওয়া ও শোনা, আর কথা বলা ও শোনা এবং সেই সঙ্গে বাংলার নৃত্যশৈলীর রসাস্বাদনের আয়োজন শেষ হয় ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও বাঙালির পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের ক্ষণকে সংগীত গেয়ে।
সর্বসাধারণ এবং ছায়ানটের শিল্পী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে এবারের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে— থার্টিন হুসার্স ওপেন স্কাউট গ্রুপ, ব্রতচারী, আজিমপুর গার্লস হাইস্কুল, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, নালন্দা বিদ্যালয় ও সানিডেল।