আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। তবে তাদের ভূখণ্ডেও সমানে হামলা চালাচ্ছে একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। তিন দিক থেকে এই হামলা প্রতিহত করতে হিমশিম খাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গাজা থেকে ইসরায়েল ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। উত্তরাঞ্চলে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং গোলান হাইটসে হামলা চালাচ্ছে সিরিয়াভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। থেমে নেই ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিও। ইতিমধ্যে একাধিক ইসরায়েলি জাহাজ আটক করেছে তারা।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবানেন উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরাও। ৩১ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার হুঁশিয়ারি দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। আবদেল মালেক আল হুথি তখন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রত্যক্ষভাবে এই সংঘাতে যুক্ত হয় তবে সামরিক পদক্ষেপ নেবে হুথি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা সামরিক পদক্ষেপ নেবে। ড্রোন ও মিসাইল হামলাও চালাতে পারে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। হামাসের পক্ষ থেকেও প্রথম এমন আভাস মিলে মঙ্গলবার। ২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতারের জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়েছে। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হয় শুক্রবার। এরপর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।