ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
রাজশাহী চারঘাট প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার নিমার্ণ কাজের উন্নতি করণে কোটি কোটি টাকা জলে ধুয়ে গেছে। সরকারের উদ্যোগে শহর উন্নয়ন অবকাঠামোর নিমার্ণর বরাদ্দের টাকার কোন হদিস মিলছে না। স্থানীয় পর্যায়ের সাধারনরা শুধু দৈন্দিন ভোগান্তিতে রয়েছে। প্রতিকারের খোজে সরকারী দপ্তর নিরব।
শহর উন্নয়ন অবকাঠামো বাস্তবায়নের লক্ষে ইউজিপ-৩ এর অর্থয়ানে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার নিমার্ণ কাজ সমাপ্তের পথে। এই প্রকল্পে চারঘাট প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা বাসিন্দাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ল্যাম্প পোষ্টের ব্যবস্থা, পথচারীর চলার পথ, জলাবদ্ধতা নিরশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সড়ক পাকা করণের কাজ শেষ হয়েও হয়নি। পৌরসভা কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শেষ করে অনেকে তাদের প্রাপ্তি টাকা বুঝে নিয়ে চলে গেছেন। কিন্ত ভোগের সময় স্থানীয়রা কি পাচ্ছে এমনটায় প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
এবিষয়ে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদকে বলেন, বর্তমান সরকারের বরাদ্দের কোন কমতি নেই। কিন্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বেশ গাফলতি রয়েছে। সম্প্রতী কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে চারঘাট পৌরসভা এলাকায় ফুটপাত, পানির লাইন, ল্যাম্প পোষ্ট ও পাকা সড়ক নিমার্ণ করেছে। কিন্ত রাজশাহী সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ওই নিমার্ণ গুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। যার কারনে সরকারী কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে তিনি সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহার সাথে কথা বলেছেন। যার সত উত্তর ছিল পৌরসভাকে সওজ এর সীমানায় সকল প্রকার নিমার্ণ কাজ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। তিন্ত তারা তাদের নিজেদের মতো করে নিমার্ণ কাজ করে গেছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বলেন, রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে পাবনার ঈম্বরদী পর্যন্ত পাকা সড়ক উন্নতি করণের কাজ শুরু হয়েছে। সওজের জমিন দখল মুক্ত করে কাজ করতে হচ্ছে। সরকারী বৃহত্তর কাজের সমাপ্তি করাটা এখন তাদের কাছে বড় প্রতিযোগিতা। চারঘাট পৌরসভার নিামার্ণ কাজের দায়িত্ব সওজ নিবে না।
প্রসঙ্গত. চারঘাট পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, পৌরসভা সওজের জমিতে নিমার্ণ করেছে। তবে তাদের নিমার্ণ কাজ ২০১৪ সালের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। সওজ অনেক পরে এসে সড়কের কাজ শুরু করেছে। কিন্ত এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় কোটি টাকার লোকসান কে দিবে তা নিয়ে ধুয়াশায় উভয় দপ্তর।
চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক জানান, সম্প্রতী সে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। তার দায়িত্ব নেয়ার পূর্বেই সকল নিমার্ণ বা বরাদ্দের সমাপ্তি ঘটেছে। বর্তমান তার করার কিছুই নেই। তবে তিনি চলমান নিমার্ণ কাজের গুনগত মান পরিদর্শন করছেন। এই পৌরসভার বাসিন্দাদের আগামীতে সকল প্রকার সুবিধার ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।