নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে মোছাঃ টুনি বেগম (৩১) সৌদি- আরব নামক দেশে মৃত্যু বরণ করেন।তাহার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তাহার ঠিকানা গ্রাম ইটাখোলা, ডাকঘর সায়হামনগর,মাধবপুর উপজেলা হবিগঞ্জ জেলা।গত ১২ই জানুয়ারি ২০২১তারিখে পরিবারের মায়া ত্যাগ করে চাকরির কাজে দালানের মাধ্যমে নগদ দুই লক্ষ টাকার দিয়ে সৌদি আরব নামক দেশে পারি দেন তিন সন্তানের জননী টুনি বেগম।তার পর কিছু দিন ভালোই কাটছিলো তাহার জীবন যাপন।হটাৎ করে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় টুনি বেগমের।এমনকি ব্যবহৃত ফোনটির নাম্বার ও ব্লক করা।দুশ্চিন্তায় ভ্যাংগে পরে তাহার পরিবারের সদস্যরা।
পরে টুনি বেগমের পরিবার যোগাযোগ করেন দালাল হাছান আলী ও দুলাল মিয়ার সঙ্গে তারা জানান যে কিছু দিনের মধ্যেই ফোনে যোগাযোগ করিবে বলিয়া পাশ কাটাইয়া যাইতে থাকে এবং কোনো রকম সদ উত্তর দেন নি টুনি বেগমের পরিবারের নিকট।তার পর কিছু দিন পূর্বে টুনি বেগম ভিকটিম ফোনের মাধ্যমে ফোন করিয়া জানান যে, সৌদি-আরব প্রবাসী দালাল মোঃ নূর মিয়া আমাকে বাচ্চা দেখা-শুনার কাজ না দিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করান এবং ধর্ষণ সহ শারীরিক নির্যাতন করিতেছেন।টুনি বেগমের পরিবার উক্ত সংবাদ পেয়ে দালাল হাছান আলী ও দুলাল মিয়া নিকট জানান যে আমাদের বোন কে দেশে দ্রুত ফেরত এনে দাও।এসময় দালালগণ টুনি বেগমের পরিবারের নিকট নগদ ০১ লক্ষ টাকা দাবি করে,দিলে টুনি বেগম কে দেশে ফেরত পাঠাবেন না হয় বেশি বারাবারি করলে তোমাদের বোনের লাশ ও পাইবা না।এবং দালালগণ আরো জানান যে এবিষয়ে মামলা করলে ফল ভাল হইবে না,মর্মে হুমকি প্রদান করেন টুনি বেগমের পরিবারের নিকট।
এভাবে অনেক দিন গত হওয়ার পর ১২ই সেপ্টেম্বর সৌদি-আরব থেকে মিস তানিয়া নামের একজন মহিলা টুনি বেগমের পরিবারের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন,আপনাদের মেয়ে টুনি বেগম কে সৌদি-আরব প্রবাসী মোঃ নূর মিয়া মানসিক ও পাশবিক নির্যাতন এবং ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলেছে। তার কয়েকদিন পর হঠাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে টুনি বেগমের বড় ভাইয়ের নিকট সৌদি-আরব থেকে ০০৯৬৬০৫০৫৯৩১৪৫২ নাম্বারে দালাল হেলাল মিয়া ফোন দিয়ে বলেন আমি তোর বোন টুনি বেগম কে ধর্ষণ করে মেরে ফেলছি।এই বলে ফোনটি কেটে দেন।পরবর্তীতে টুনি বেগমের পরিবার এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বিয়ানের শরনাপন্ন হয়ে টুনি বেগম এর পরিবার ০৪ জন দালালদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন টুনি বেগমের বড় বোন সায়েরা খাতুন।উল্লেখীত মামলায় আসামি চার দালাল ১/মোঃ হাছান আলী (৩৮)পিতা মৃত নূর মিয়া,২/মোঃ দুলাল মিয়া(৪০)পিতা মৃত অজ্ঞাত উভয় সাং হরুষপুর, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ৩/মোঃ নূর মিয়া(৩০)পিতা মৃত অজ্ঞাত(সৌদি আরব প্রবাসী),৪/মোঃ হেলাল মিয়া(২৮)পিতা মৃত অজ্ঞাত(সৌদি আরব প্রবাসী) উভয় সাং তেলিয়াপাড়া,মাধবপুর,হবিগঞ্জ।নিহত টুনি বেগমের পরিবারের নিকট ০৪নং আসামি মোঃ হেলাল মিয়া সৌদি-আরব থেকে (০১৭৬৮৬৩০১৬৭) নাম্বারে ফোন দিয়ে শিকার করেন,যে আমি টুনি বেগম কে ধর্ষণ করে মেরে ফেলছি।নিহত টুনি বেগমের তিনটি সন্তান রয়েছে প্রথম সন্তানের বয়স ১২ বছর,দ্বিতীয় সন্তানের বয়স ০৯বছর, তৃতীয় সন্তানের বয়স ০৭ বছর।পরিবারের দাবি টুনি বেগমের লাশ দেশে ফেরত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন নিহত টুনি বেগমের পরিবার।নিহত টুনি বেগমের ভোটার কার্ড নং 3701251351/পাসপোর্ট নং EH 0547459/সৌদি-আরব এর পরিচয় পত্র নং 6072884209।এবিষয়ে সোমবার(০৪ অক্টোবর) মাধবপুর থানাধীন মনতলা পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ কাইয়ূম চৌধুরী নিকট তদন্ত করার নির্দেশ আসেন,পরে তিনি জানান যে, উল্লেখীত বিষয়টি সঠিক প্রমাণিত হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে,তবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।