আল নোমান শান্ত দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
বাসায় কাজের জন্য মোটা আংকের টাকা দেওয়ার কথা বলে এক তরুণী(১৮)কে জোর করে আটকে রেখে ১৪ দিন দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার চরমোক্তারপাড়া এলাকার ফাতেমা খাতুন (৪৩) এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৬ আগষ্ট) রাতে ঐ তরুনী বাদী হয়ে একজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১ বছর আগে সে তরুনী পিতার সাথে ঝগড়া করে ঢাকায় চলে আসে। এরপর ঢাকায় এসে মিতু আক্তার নামে একজনের সাথে তার পরিচয় হয় এবং সে সুবাদে তার বাসায় থাকে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মামলার অভিযুক্ত ফাতেমা খাতুন মিতু আক্তারকে জানায় বাসায় কাজের জন্য একজন মেয়ে দরকার এবং তাকে মোটা অংকের বেতন দেয়া হবে। এ কথা শুনে মিতু আক্তার তরুনীকে দুর্গাপুর নিয়ে আসে। এরপর ফাতেমা আক্তার তরুনীকে পতিতাবৃত্তি করার কথা বলে কিন্ত এই প্রস্তাবে তরুনী রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট সহ নানা রকম নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তরুনী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ পেশায় নামতে রাজি হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ আগষ্ট) বিকেলে ৪ টার দিকে ফাতেমা আক্তার তরুনীকে সাজগোজ করতে বলে কিন্ত সে রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে তরুণী দৌড় দিয়ে অভিযুক্তর বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। এরপর তরুনী পৌর শহরের মজিবনগর এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। স্থানীয়রা বিষয়টি শুনে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তরুনীকে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা আক্তার ঐ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত পতিতালয় পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়ে এনে এই ব্যবসা করছেন তিনি।