মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরনখোলায় স্কুল পডুয়া এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন বখাটেকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিন সাউথখালী এলাকার বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল ছাত্রীর মা (৫০) বাদী হয়ে ২২মে (শনিবার) রাতে শরনখোলা থানায় একই এলাকার তিন বখাটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শরনখোলা থানায় ওই মামলাটি দ্ধায়েয়র করেন।
মামলার বাদী জানায়, তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ২১ মে (শুক্রবার) রাতে লাইটের আলো জ্বালিয়ে ঘরের পার্শে একটি টয়লে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
এ সময় পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশি আ. রব ফরাজীর বখাটে ছেলে মো. আমিনুর ফরাজী (৩২),তার সহযোগী মো.আসাদুল হাওলাদারের ছেলে মো .ইমরান হাওলাদার (২২), মো. মোজাম্মেল ফরাজীর ছেলে মো. নাইম ফরাজী (১৮) ও মো. দেলোয়ার ফরাজীর ছেলে মো. নাজমুল ফরাজী (২৫) সহ ৪/৫ জন একজোট তার মেয়ের মুখ চেপে ধরে অভিযুক্ত বখাটে অমিনুর ফরাজীর নিকট আত্মীয় মো. নাছির ফরাজীর বাড়ীতে নিয়ে যান এবং একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে।
এতে নাছির ফরাজীর স্ত্রী আমেনা বেগম আমিনুরকে সহযোগীতা করেন। পরে আমিনুর তার মেয়েকে ওই কক্ষে একা পেয়ে জোর পুর্বক ধর্ষন করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ওই রাতে কানাঘুষা শুরু হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পুলিশ মো. সাফায়েত ফকির তার মেয়েকে বদ্ধ রুম থেকে উদ্ধার করে তার কাছে নিয়ে আসেন।
এসময় ধর্ষনের বিষয়টি তিনি মেয়ের মুখে জানতে পারেন। তিনি আরো বলেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়েন। অপরদিকে, রাতে মেয়ে খুজে না পেয়ে এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। যারা তার পরিবারের স্বর্বনাশ করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক বিচারের দাবী জানান।
তবে, ঘটনার পর অভিযুক্ত বখাটেরা পলাতক থাকায় কারো সাথে কথা বলা সম্ভব না হওয়ার কারনে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া এ বিষয়ে শরনখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে ওই ছাত্রী ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মামলাটি তদন্ত সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।