গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা এলাকায় এক গৃহবধূকে (২৩) গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ধর্ষক ও সহযোগীসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের নবীরটেক গ্রামের চক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আফজাল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকার রোমন বেপারী (২০), একই এলাকার বোয়ালেরটেকের জোবায়ের (২১), মোস্তারীন সরদার (২১), মাহবুবুল হোসেন শাকিব (২২), মাসুম শেখ (২১), রাকিব হোসেন (২০) ও মাহফুজুল হক (২০)।
এছাড়া প্রধান অভিযুক্ত কাপাসিয়ার চরখামের এলাকার সাখাওয়াত পলাতক রয়েছে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আফজাল হোসাইন জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদীতে। তার বাবার বাড়ি গাজীপুরের নবীরটেক এলাকায়। গতকাল ১৬ ডিসেম্বর তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন।
এদিকে গত ২/৩ মাস ধরে সাখাওয়াতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বৃহস্পতিবার শাখাওয়াত ওই গৃহবধূকে একটি মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। পরে তারা কথা বলতে বলতে নবীরটেক এলাকায় যায়।
সেখানে সাখাওয়াত ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাকিরা এ ঘটনা দেখে ফেলে এবং ওই গৃহবধূকে ধরে নিয়ে তাদের মধ্যে রোমন বেপারী, জোবায়ের ও মোস্তারীন সরদার একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই সময় সাকিব গৃহবধূকে মারধর করে মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে অন্যরা গৃহবধূর মাকে ফোন করে জানায়- আপনার মেয়ে খারাপ কাজ করে ধরা পরেছে। সে আমাদের কাছে আটক আছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে পার্সোনাল বিকাশ নম্বর দেয়। পরে গৃহবধূর মা কাপাসিয়া থানা গিয়ে বিষয়টি জানান। ওই বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ইন্সপেক্টর আফজাল হোসাইন।