রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি বাড়িতে দশম শ্রেনির এক ছাত্রীকে ডেকে এনে গণধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই নারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পিবিআই। এছাড়াও এ ঘটনায় আরও দুইজনকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তাদেরকে জিজ্ঞিাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে ৪৮ ঘন্টার পরও মঙ্গলবার সন্থা ৬ টা পর্যন্ত মামলার প্রধান অভিযুক্ত মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম(৩৫) গ্রেফতার দেখানো হয় নি।
আদালত সূত্র জানা গেছে, বেলা ১২ টায় চাঞ্ছল্যকার ছাত্রী গণধর্ষনের ঘটনায় এই মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই রোববার গ্রেফতার হওয়া সুমাইয়া পারভীন মেঘলা (২২) ও সম্পা বেগমকে (৩০) কে আদালতে আনা হয়। বেলা চারটায় তাদেরকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসমিন আরা মুক্তার আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদেরকে কারাগাঠে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই দুই নারীর পক্ষে কেউ জামিনের আবেদনও করেনি নি।
পিবিআই জানিয়েছে, ঘটনার অন্যদের গ্রেফতার কজরতে অভিযানে থাকার কারনে বিকেলে তাদের রিমান্ড চাওয়া হয় নি। আমরা আবেদনে বলেছি রিমান্ড চাওয়া হবে। বুধবার তাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাইবো আমরা। তিনি বলেন মেঘলা স্বামী পরিত্যাক্তা। তার স্বামীর বাড়ি সাহেবগঞ্জে এবং পিতার বাড়ি গুড়াতি পাড়ায়। আর সম্পাও স্বামী পরিত্যাক্তা। তার বাড়ি নগরীর কামারপাড়ায়। নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারা সেখানে দেহ ব্যবসা করতেন।
তদন্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এএসআই রাহেনুলের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তারা নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখছেন। বিশেষ করে হারাগাছ থানায় থাকাকালিন সময়ে থানার শীর্ষ কর্মকর্তার দাপট দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগও খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংস্থা।
পিবিআইয়ের রংপুর জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতভর অভিযান চালিযে ২ জনকে লালমনিরহাটের সদরের মাজপাড়া থেকে থেকে বাবুল হোসেন(৪২) এবং আবুল কালাম আজাদকে(৪০) গ্রেফতার করেছি। এনিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। তাদেরকেব জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি এবং সে আলোকে আরও অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।
পুলিশ, মামলা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রোববার সকালে পূর্ব সম্পর্কের সূত্র ধরে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবির এসএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু (৩৫) নগরীর হারাগাছা থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারী এলাকার আয়নালের নবম শ্রেণি পড়–য়া কন্যাকে ডেেেক নিয়ে এসে ক্যাদারের পুল এলাকার একটি বাড়ির ভাড়াটিয়ার রুমে নিজে ধর্ষন করার পর আরও কয়েক যুবকদের দিয়ে ধর্ষন করায়। এ ঘটনায় মুমুর্ষ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এঘটনায় সুমাইয়া পারভীন মেঘলা (২২) ও অপর সহযোগি সম্পা বেগমকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর হওয়ায় সোমবার সন্ধায় ওই দুই গ্রেফতার নারীকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর করে পুলিশ। এছাড়াও সোমবার ঘটনার ২ নম্বর আসামী মেট্রোডিবি পুলিশের এসএসআই (পূর্বে হারাগাছ থানায় কর্মরত) রাহেনুল ইসলাম রাজুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর আটক করে পুলিশ লাইনে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সোমবার রাতে পিবিআই অভিযান চালিয়ে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেন।