রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের একজন এ এস আইয়ের নেতৃত্বে মহানগরীর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি বাড়িতে নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে ডেকে এনে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আটক করা হয়েছে ভাড়াটিয়া আলেয়া নামের এক মহিলাকে।
ভুক্তভোগির পরিবার সূত্র জানায়,
রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএস আই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানায় ওই ছাত্রীকে। সম্পর্কেরে সূত্র ধরে রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হান ডেকে নেয় ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে। সেখানে রায়হান ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের পর তার আরও কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সেখান থেকে কৌশলে বের হয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ওই বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমসহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর দেয়া হয় পরিবারকে।
জ্ঞিাসাবাদ শেষে ছাত্রীর পিতা আয়নাল বাদি হয়ে পুলিশ সদস্য রাজুসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষন মামলা করেন। রাত পৌনে ১২ টায় পুলিশ অসুস্থ্য ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায় পুলিশ। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই ওই বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে মেয়ে নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগও আছে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানের সাথে আমার মেয়ে কথা বলতো এবং মাঝেমধ্যে দেখা সাক্ষাত করতো।
মামলার স্বাক্ষি ধর্ষিতার পাশের বাড়ির চাচা আতিয়ার রহমান জানান, মামলার আসামী ধরতে গিয়ে আমার ভাতিজির সাথে পরিচয় এ এসআই রায়হানুলের। তার পর থেকেই তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ভাতিজি তার সাথে কথাবার্তা বলতো। আমার ভাতিজি ময়নাকুঠি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্রী। সে পড়াশুনায় খুব ভালো।
এদিকে এ ঘটনায় রাত ১২ টায় হারাগাছ থানায় মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান,
প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে তাকে দুই জন ধর্ষন করেছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রাজু নামের একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কিনা তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকেও পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে বলেও জানান তিনি।