নিজের স্ত্রী বাড়ীতে না থানায় তার ৭ বছরের শিশুকন্যার সাথে ঘুমানোর কথা বলে নিয়ে আসা হয় প্রতিবেশীর ৭ বছরের আরেক শিশুকন্যাকে। তারপর গভীর রাতে উঠে প্রতিবেশী ওই শিশুর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে দেওয়া হয় হাত। শেষে করা হয় ধর্ষণের চেষ্টা। কিন্তু শিশুটির চিৎকারে জেগে যায় তার মেয়ে, রক্ষা পায় শিশুটি। পরে ওই শিশুটির জবানবন্দিতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবার দায়ের করা ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় (নং ৮) রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আলমগীর হোসেন (২৯) নামের অপরাধীকে গাজীপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আলমগীর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আফতাব আলীর ছেলে। সে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানার ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো। আর ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ মিয়া জানান, দেওপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। অভিযুক্ত আলমগীর শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিজের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তার ৭ বছরের শিশুকন্যার সাথে ঘুমানোর কথা বলে প্রতিবেশী শিশুকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গভীর রাতে উঠে প্রতিবেশী ওই শিশুর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ওই লম্পট।
পরে করা হয় ধর্ষণের চেষ্টা। কিন্তু শিশুটির চিৎকারে জেগে উঠে তার মেয়ে। রক্ষা পায় প্রতিবেশীর শিশুটি। পরে এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় সে ভয় পেয়ে ঘরে কান্নাকাটি করছে। এরপর শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী শিশু তার বাবা-মায়ের কাছে ঘটনার বিষয়ে খুলে বলে। পরে স্থানীয়রা ওই হীনকামনা চরিতার্থ হাসিল করতে যাওয়া ওই লম্পটকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।