ভিয়েতনাম থেকে ফেরত আসা ৪৭ জন কারাবন্দি আদালতের আদেশে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার নূর মোহাম্মদ জানান, গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই কারাগারে ভিয়েতনাম ফেরতদের মধ্যে ২০ জনকে পাঠানো হয়। আদালত থেকে তাদের মুক্তি আদেশ আসলে তা যাচাই বাছাই করে মঙ্গলবার দুপুরে ১৯ জনকে এবং দুইদিন আগেও অপর জনকে মুক্তি দেয়া হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর ওই কারাগারে ভিয়েতনাম ফেরত ৩২ জনকে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জনের মুক্তির আদেশ পাওয়া গেছে। আদেশের কপি যাচাই বাছাই করে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান জানান, এ কারাগার থেকে ভিয়েতনাম ফেরত একজনকে দুপুর ১২ টার দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর আগে গত শনিবার আদালতের নির্দেশে ২০ জনকে এ কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কারামুক্ত ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ছনকান্দা এলাকার আব্দুর রহমান (২৫) জানান, পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে আমার ভগ্নীপতির কাছ থেকে ধার-দেনা করে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় দালালের মাধ্যমে ভিয়েতনাম গিয়েছিলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি। ওই দেশে যাওয়ার পর জানতে পারি আমার কাগজপত্র ঠিক নেই। পরে আমাকে জেলে পাঠানো হয়। তিন মাস পর জানতে পারি আমার মতো অনেকেই ওই দালালের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরে জানতে পারি ওই দেশ থেকে ১০৬ জনকে বাংলাদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশে ফেরত পাঠালেও পুলিশ আমাদেরকে কারাগারে পাঠায়।
পরে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার আমি মুক্তি পেয়েছি। মুক্তি পেলেও এখন পাওনাদারের তাগাদায় আমাকে পালিয়ে বেড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না। আমি এত টাকা কোথায় পাবো। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই দালালচক্রকে গ্রেপ্তার, শাস্তি এবং আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন।