গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হতে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে শনিবার (৩রা অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ৩সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে,সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দূর্ভোগ বেড়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বানভাসী মানুষের।গত ২১ বছরের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ ১১৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড সৃষ্টিকারী ভয়াবহ এ বন্যায় উপজেলার চরাঅঞ্চলের বানভাসি মানুষ গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের খুকশিয়া, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের শাকপালা চরপাড়া ও খাংশাপাড়া এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় ঐ এলাকার ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ী পানিতো নিমজ্জিত। কিছু বাড়ীতে হাঁটু ও কিছু বাড়ীতে কোমর পানি লক্ষ করা যায়।ঐ এলাকার কিছু ঘরের চাল ছুঁয়েছে বন্যার পানি।খাংশাপাড়া গ্রামের কৃষক রাজ্জাক মিয়া জানান,গত সপ্তাহের শনিবার বাড়ীর আশপাশ শুকনো দেখে ঘুমিয়েছিলেন তিনি,সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার ঘরের দরজায় পানি উঁকি দিচ্ছে এরপর কয়েকদিনে তার ঘরে এখন হাঁটু পানি।
রাজ্জাক মিয়া ঘরে উঁচু মাচা তৈরি করে নিজে থাকার ব্যাবস্থা করলেও গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।ঐ এলাকার খঁড়খুটাসহ সকল ক্ষেত খামার ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে।স্থানীয়রা জানান,ভয়াবহ এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তাদের কেউ খোঁজ খবর রাখেনি,
পায়নি কোনো সহযোগিতা।এসব এলাকায় শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।এবারের ভয়াবহ বন্যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা, দরবস্ত, হরিরামপুরসহ ১৩ ইউনিয়নের ১০০টি গ্রামের ৫০হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে।