নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির পসরা সাজিয়ে বসেছেন প্রার্থীরা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে এর আগেও এসেছিল এমন প্রতিশ্রুতি। কিন্তু হয়নি বাস্তবায়ন। টানা তিনবারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পাশাপাশি শেখ মোহাম্মদ আসলামের সমন্বয় পরিষদেও আছে চটকদার সব প্রতিশ্রুতি। একক সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিকও শুনিয়েছেন দিন বদলের গান।আগের দুই মেয়াদেও ইশতেহারে একের পর এক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছিল কাজী সালাউদ্দিনের। কিন্তু বাস্তবায়নের বেলায় ছিল উল্টো চিত্র। এবার ইশতেহারের আগে তাই ভেবেচিন্তে পা ফেলেছেন টানা তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি।
৩৬ দফা ইশতেহারে এবার সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে জাতীয় দল। তাদের জন্য দেয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি। র্যাংকিংয়ে উন্নতি আনার দিকে বেশি মনোযোগ তার। সালাউদ্দিনের তৃতীয় মেয়াদে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ফিফা র্যাংকিংয়ে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। এবার নির্বাচিত হলে সে অবস্থার উন্নতি আনতে চান সালাউদ্দিন।
নির্বাচিত হলে নিয়মিত লিগ আয়োজনসহ নারী ফুটবলে দেয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব। অন্তত চারটি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে সংখ্যা বাড়াতে চান সালাউদ্দিন। পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে তৃণমূল।
এবারের নির্বাচনে সভাপতিবিহীন প্যানেল দিয়েছে শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বে সমন্বয় পরিষদ। ১২ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা, জেলা ও উপজেলা লিগ আয়োজন, বয়সভিত্তিক ফুটবল নিয়মিত করার, সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা কাপ নিয়মিত আয়োজন এবং সে সঙ্গে আছে পেশাদার ফুটবল লিগকে ঢেলে সাজানো।
সমন্বয় পরিষদের ইশতেহারে আরও প্রাধান্য পেয়েছে ফুটবলারদের ইনস্যুরেন্স পলিসির মধ্যে আনা। এছাড়াও থাকবে জাতীয় দলের জন্য ৪, ৮ ও ১২ বছর মেয়াদী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। সাফ ফুটবলে সাফল্য আনাও আসলামের সমন্বয় পরিষদের অন্যতম লক্ষ্য।
বাফুফের নির্বাচনে একলা চলো নীতিতে আছেন সভাপতি প্রার্থী সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। ২১ দফা প্রতিশ্রুতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন তৃণমূলে। মানিক নির্বাচিত হলে ঘরোয়া ফুটবলের ক্যানসার হিসেবে খ্যাত পাতানো খেলা বন্ধ করতে চান সবার আগে।নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির পসরা সাজিয়ে বসেছেন প্রার্থীরা।
তবে, দেশের ফুটবল প্রেমীরা প্রতিশ্রুতি নয় চান এর সঠিক বাস্তবায়ন। আগামী চার বছরে তারই প্রমাণ দিতে হবে দিতে হবে দেশের ফুটবলের ভাগ্য উন্নয়নে নির্বাচিতদের।