কয়েকদিনের অতি বর্ষনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় এবং আগে থেকেই বর্ষা কেন্দ্রিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দী হয়ে পরেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভার মানুষ।
২৭ (সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে ১১-দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শিবলী সাদিক এমপি পানিবন্দী মানুষদের অবস্থা পরিদর্শন করেছেন এবং ব্যাক্তিগত তহবিল হতে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের ঘর বাড়ি মেরামত সহ পানি নিঃস্কাশনের জন্য নগত ৪,০০,০০০(চার লক্ষ) টাকা ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসন এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার হতে তুলে দিয়েছেন।
সেইসাথে পৌর আওয়ামীলীগ সহ পৌরমেয়র কে যতোদ্রুত সম্ভব জনগনের ভোগান্তি নিরশনের জন্য কাজ করতে নির্দেশ দেন।
এমপি শিবলী সাদিক বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ঘরবাড়ি আমি ঠিক করে দেবো এবং পানি নিঃস্কাশনের জন্য খুব তারাতারি ব্যবস্থা নিচ্ছি, দক্ষ লোকবল/মিস্ত্রি কাজে লাগিয়ে দেবো। আমি থাকতে আমার জনগণের কোন ক্ষতি হতে দেবো না।
এমপি শিবলী সাদিক ঘোড়াঘাট পৌরসভার অন্যান্য এলাকার পানিবন্দী মানুষদের অবস্থাও পরিদর্শন করেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে ঘোড়াঘাট উপজেলা। ২০০৫ ইং সালে ঘোড়াঘাট পৌরসভার যাত্রা শুরু হলেও এ দীর্ঘ ১৫ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন চোখে পারেনা। যা হয়েছে তা শুধু বাজেটের নামে লুটপাট এমটাই দাবি পৌরসভার সিংহভাগ মানুষদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন এলাকার সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন মেয়র, কমিশনারের কাছে গিয়ে কোন সমাধান পাওয়া যায় না এমনকি কখনও পরিদর্শনেও আসেনি কেমন আছে পৌরসভার জনসাধারণ!
এই দীর্ঘদিনে বেশিরভাগ ওয়ার্ড গুলোতে উন্নয়নের কোন ছোয়া পরেনি। মানুষ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না। কোন কোন ওয়ার্ডের মানুষ কর্দমাক্ত রাস্তায় ধান গেরে এর প্রতিবাদ জানালেও মেয়র ছিলো বেখবর কারন সে জনপ্রতিনিধি হলেও জনগণের ভোগান্তিতে তার কোন ইন্টারেস্ট নেই বললেই চলে।
একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া এই পৌরসভায় মেয়র হিসেবে নতুন মুখের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
১, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলেন বর্ষা কেন্দ্রিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার পূর্ব হতেই সংস্কার করা পৌরসভার দ্বায়িত্ব। ঘোড়াঘাট পৌরসভার বেখেয়ালিপনার কারণে ঘোড়াঘাটে পৌরসভার মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার। বছর বছর পৌর কর দিলেও নাগরিক সুবিধা বন্চিত ঘোড়াঘাট পৌরসভার মানুষ।
এ পৌরসভার সিংহভাগ মানুষদের দাবি এলাকার কোন উন্নয়ন মূলক কাজ যদি করা হয় তা যেন স্বয়ং এমপি সাহেবের হস্তক্ষেপে হয় কারণে এসব পেটুক কমিশনার মেয়রকে দায়িত্ব দিলে সেকাজ দীর্ঘ ১ যুগেও বাস্তবায়ন সম্ভব না।