কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে পঞ্চগড়ের নিম্নাঞ্চল। অন্যদিকে শেরপুরে প্লাবিত হয়ে পড়েছে বেশকিছু নিম্নাঞ্চল। আবার বন্যা কবলিত হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা। ভারি বর্ষণে আবারো বাড়ছে বিভিন্ন নদনদীর পানি।পঞ্চগড়ে ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার বেশির ভাগ এলাকা।
ইসলামবাগ, কায়েতপাড়া, রামেরডাঙ্গা, রাজনগর, কামাতপাড়া, কায়েতপাড়া, খালপাড়া, নীমনগরসহ বিভিন্ন নিচু এলাকায় এখন হাঁটু পানি।শেরপুরে পঞ্চম দফা পাহাড়ি ঢলে মহারশি, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতির নিম্নাঞ্চল। ফলে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
অন্যদিকে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা তীরের নিচু এলাকার ঘরবাড়ি থেকে এখনো নামেনি বন্যার পানি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। পানির নিচে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে আমন ও অন্যান্য ফসল।জেলার উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলায় নদনদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর দিন পার করছেন এসব এলাকার মানুষ।
এদিকে, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, ভাঙন প্রতিরোধে ১১৩ কিলোমিটার নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘একশো তের কিলোমিটার নদী আমরা ড্রেজিং করবো। নদী আর ভাঙ্গবে না। কিন্তু আপনারা সেই পর্যন্ত যদি অপেক্ষা না করেন, তবে আমাদের তো কিছু করার থাকবে না।’