শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নে ভাগ্যকুল রোড নামে পরিচিত বেহাল দর্শা রাস্তা এতে করে চলাচলে এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে। ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের পিছন দিক দিয়ে একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিন কামারগাঁও মাঠ পাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি মানুষের চলাফেরায় প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় নাজুক হয়ে পড়েছে। এছাড়াও গেল বন্যায় প্লাবিত হয়ে নাজুক রাস্তাটি ভেঙ্গেচূরে প্রায় বিলিন হয়ে গেছে। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তায় প্রায় হাঁটু পর্যন্ত কাঁদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে করে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকার ওই রাস্তাটির বেহাল দশা। পুরো রাস্তা জুড়ে খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও রাস্তা পিচ উঠে গিয়ে ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। বেহাল রাস্তায় অটোরিক্সা, মোটরসাইকেসহ হালকা যানবাহন চলাচলে ভঙ্কর হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতির স্বীকার মাঝে মধ্যে দুই একটি ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও কাঁদাযুক্ত গর্তে চাকা ডেবে যাচ্ছে।
এতে করে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন চালকসহ পথচারী। স্থানীয় বসতিদের সহজতম যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায় ভাঙ্গাচূরা কাঁদা-পানি উপেক্ষা করে পাঁয়ে হেঁটেই যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা।এসময় পথচারী সুজন, নবীন, আয়সা বেগমসহ অনেকেই বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই বেহাল রাস্তায় পাঁয়ে হেঁটে চলাফেরা করতে হচ্ছে। নাজুক রাস্তায় অটোরিক্সার চালকরাও যেতে অনিহা করেন।
ঐতিহ্যবাহী ভাগ্যকুল বাজার, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকায় দৈনিক হাজারো মানুষ যাতায়াত রয়েছে এখানে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কমনা করেন তারা।এ ব্যাপারে ভাগ্যকুলের স্থানীয় ইউপি সদস্য পারভেজ কবিরের কাছে জানতে চাইলে বেহাল রাস্তায়
জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তা সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয়েছে। ঠিকাদার মো. মিজান এই কাজের টেন্ডার পেয়েছেন। আশা করছি ঠিকাদার দ্রুত কাজ শুরু করবেন।