রংপুর নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড খটখটিয়া এলাকার বাদিয়া টারি এলাকার আঃ গনী মিয়ার বড় মেয়ে স্কুল পড়ুয়া উম্মে কুলসুম তানিয়া ( ১৫) গলায় ওড়না পেঁচে আত্মহত্যা করার চেষ্টাকালে তার গোঙ্গানি শুনে পাশের ঘড়ে থাকা মা মাসু বেগম ঘড়ের বেড়া ভেদ করে চাকু দিয়ে ওড়না কেটে নিচে মানানোর সময় জীবিত আছে দেখে দ্রুত শাকিল ও সবুজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যায়।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায় তানিয়ার সাথে একই গ্রামের গোলজারের পুত্র রাজমিস্ত্রী তানবির (১৮) মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক রয়েছিলো কিন্তু উভয় পরিবার না মানায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় তানবির নিজবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এঘটনার ২৪ ঘন্টার মাথায় প্রেমিকা ঠিক একই কায়দায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তানিয়ার মা আবেগ কন্ঠে জানান স্থানিয় খটখটিয়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে খাইরুল বার বার তানবিরের জন্য আমার মেয়ে তানিয়ার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতো কিন্তু আমার মেয়ে কখনো রাজি হত না মানুষের আপমান জনক কথায় আমার মেয়ে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাটিতে পরিদর্শন করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম জোনের সহকারী কমিশনার জিন্নাহ আল মামুন। তবে ২৪ ঘন্টার মাঝে দুজনের রহস্যজনক মৃততে গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।