প্রতিনিধিঃচলতি বছরের বন্যার পানি জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নেমে গেলেও এখনো দুর্ভোগ কমেনি দুর্গত মানুষের। একদিকে কমছে পানি আর অন্যদিকে দৃশ্যমান হচ্ছে রাস্তা ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি।
পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ৬টি উপজেলায় পানি প্রবেশ করে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বর্তমানে পানি কমলেও এখনো রাস্তা-ঘাটের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে, আর এতে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের যাতায়াতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয় (এলজিইডি) বলছে চলতি বছরের বন্যার পানিতে ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা ডুবে যায় এবং এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় থেকে দুইশ কোটি টাকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে আগস্টের প্রথমদিক থেকেই আর এ পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
ভাঙনের কবলে পড়েছে আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ পিচঢালা, কারপেটিং রাস্তাসহ ইট সলিং ও আধাপাকা রাস্তা। বন্যাকবলিত এলাকার গ্রমীণ রাস্তা এখন মানুষের হাঁটা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং এতে বিপদে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
পানি কমায় এসব রাস্তাগুলোতে ইট সলিং রাস্তার ইট ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে আছে, টুকরো ইটের রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। পিচঢালা রাস্তায় দেখা দিয়েছে ভাঙন,
ভাঙনের কারণে অনেক রাস্তায় যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। আঞ্চলিক এ সব রাস্তা দ্রুত সময়ে মেরামতের দাবি স্থানীয়দের।
দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের বেপারী পাড়ার মুকসেদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার পানি নেমে গেছে গত কয়েকদিন আগে তবে এখনো রাস্তার কিছু স্থানে পানি আছে। পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ার কারণে ইট সলিং রাস্তার ইটগুলো টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা মেরামত না করলে শিশুসহ বৃদ্ধরা যেকোনো দুর্ঘটনায় পড়তে পারে।
সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের চরধানকোড়া এলাকার করিম বলেন, বন্যার পানি রাস্তার উপরে থাকা অবস্থায় ভালো ছিল কারণ নৌকায় করে পার হতে পারতাম। এখন পানি কমার পরে রাস্তা দিয়ে চলাচলের অবস্থা নাই। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে, রাস্তার ইটগুলো পানি সরে গিয়ে গর্ত হয়ে পানি জমে আছে সে সব গর্তে কাদার সৃষ্টি হয়েছে।
মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের (এলজিইডি) সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম আনিছুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ বছরের বন্যার পানিতে ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা ডুবে যায় এবং এতে প্রায় দেড় থেকে দুইশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব রাস্তার পরিমাপ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সেখান থেকে বরাদ্দ এলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মেরামত করা হবে।