ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অসুস্থ পিতাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মাইক্রবাসযোগে রাণীশংকৈলের কোন এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে কৌশলে টিপসহি দিয়ে জমির দলিল করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপড় পাবর্তীপুর গ্রামের ভেলসা মোহাম্মদের ছেলে দবিরউদ্দিনের সাথে।
সাংবাদিকদের কাছে জমির দাতা দবিরউদ্দিন, তার ২য় পক্ষের ছেলে রাজা মিয়া, স্ত্রী মালেকা, জামাই দুলাল ও শ্যালক হোসেন আলী এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন গত ২৫ আগস্ট রাতে সাব-রেজিস্টার বিপ্লব ও নকল নবিস মোস্তফার যোগসাজেসে উপজেলার চাপোড় পার্বতীপুর গ্রামের দবির উদ্দীন (৯০)’ র ১ম স্ত্রীর ছেলে মেয়েরা অসুস্থ বৃদ্ধ পিতার কাছ থেকে সিংহভাগ জমি লেখে নেন। তারা আরও বলেন, দবির উদ্দীন একজন ব্রেনস্টোকের রোগী।
তাকে মিথ্যা চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক দলিল সম্পাদন করে নিয়েছে বড় পক্ষের ছেলেরা এবং এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট অনেক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ প্রসঙ্গে দলিল লেখক মোতাহার হোসেন বলেল, উপর মহলের নির্দেশে দলিলটি লেখে দিয়েছি। তবে ওই ব্যক্তির নাম বলা যাবেনা।
বাদী ও জমির দাতা দবিরউদ্দিন অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন, ১ম পক্ষের ছেলে হাসিরুল, লতিফ, আঃ রহমান এবং জামাই সহিদুল তাকে জোর করে মাইক্রবাসে তুলে নিয়ে যায় উপজেলা শহরের কোন এক স্থানে। আর
সেখানে আমাকে ফুসলিয়ে সম্পত্তির দলিল সম্পাদন করে নিয়েছে ১ম পক্ষের সন্তানেরা।
তিনি এও বলেন আমার কাছে জোর করে বাম হাতের টিপসই নিয়েছে। অথচ আমি লিখিত স্বাক্ষর জানি।
দাতার জামাই দুলাল ও শ্যালক হোসেন আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনিয়মভাবে রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিস মোস্তফার যোগসাজেসে সাব-রেজিস্টারকে ম্যানেজ করে ওই দিন রাত ৮টায় কোন এক গোপন স্থানে দাতার কাছ থেকে জোরপূর্বক টিপসহি নিয়ে জমির দলিল সম্পাদন করে নেয়।
এ প্রসঙ্গে সাব রেজিস্টার বলেন, জমির দাতা স্বজ্ঞানে তার জমি নিজ ছেলেদের দিয়েছে। আমার কাছে এর তথ্যপ্রমাণ ও ভিডিও ডুকুমেন্ট আছে। এ ব্যাপারে ১ম পক্ষের ছেলেদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের বাবা জমি দিয়েছে আমরা নিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা জানান, আমি অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সাব-রেজিস্টারকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ পত্রটি মার্কিং করে পাঠিয়েছি।