যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ ৩ জনকে আটক করেছে। পরে শনিবার বিকেলে যশোর ঝুমঝুমপুরস্থ ৪৯ ব্যাটালিয়ের সদর দফতরের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সেলিম রেজা প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি জানান,
অস্ত্র ও মাদকের চালানের সাথে ভারতীয় দুই নাগরিক এবং বাংলাদেশের বেনাপোলের ধান্যখোলা নারায়ণপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক সম্রাট বাদশা মল্লিক জাড়িত বলে তথ্য পেয়েছেন।
লে.কর্ণেল সেলিম রেজা জানান, শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে রঘুনাথপুর বিওপির হাবিলদার সিগন্যাল মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল ২১/৬ এস নামক মেইন পিলারের কাছে অবস্থান নেয়। সে সময় সীমান্ত অতিক্রম করে ২ ব্যক্তি দুইটি বস্তার মধ্যে করে অস্ত্র গুলি ও মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি ধাওয়া করে। তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আটককৃতদের কাছে থাকা বস্তার মধ্য থেকে সেখানে ১১টি বিদেশী ৭.৬৫ পিস্তল, ২২টি ম্যাগজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি এবং ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লে. কর্ণেল সেলিম রেজা আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে আটক দুইজন হলো বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের মৃত সবেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০) ও শহিদ বিশ্বাসের ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজন তথ্য দেন অস্ত্র গুলি ও মাদক তারা একই গ্রামের এজুবার মিয়ার ছেলে সাজ্জুলের (৩০)
কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিলো।
সেই সাজ্জাদুলকেও আটক করা হয়। লে. কর্ণেল সেলিম রেজা জানান,জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজন বিজিবিকে জানিয়েছে-ওই অস্ত্র গুলি ও মাদক ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগুনার বনগাঁ থানার ছয়ঘড়িয়া ভিড়া গ্রামের কোরবান আলী (৩৫) এবং লাল্টু মিয়ার (৩২) কাছ থেকে আনা হয়।
তারা ওই মালামাল বেনাপোলের ধান্যখোলা গ্রামের মৃত করামত মিল্লকের ছেলে বাদশা মল্লিকের (৫০) কাছে পাঠিয়েছিল। বাদশা মল্লিকের আটকের জন্য বিজিবি অভিযান শুরু করেছে। এই ঘটনায় বেনাপোর পোর্ট থানা সাজ্জুল, আলমগীর ও আনারুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।