চুরির উদ্দেশ্যেই দিনাজপুরের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসভবনে ঢুকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে হামলা ও হাতুড়েপেঠা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় অভিযুক্ত মুল আসামী আসাদুলের জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে এই তথ্যের কথা জানায় র্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার পর থেকে র্যাব-১৩ ছায়াতদন্তে নামে।
সন্দেহের ভিত্তিতে মোট ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেন৷
আসামীরা হলেন, দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের পুত্র আসাদুল হক (৩৫), মৃত ফরাজ উদ্দিনের পুত্র নবীরুল ইসলাম (৩৪) ও ঘোড়াঘাট থানার চক বাবুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার খোকা চন্দ্র বিশ্বাসের পুত্র শ্রী সান্টু কুমার বিশ্বাস।
এর মধ্যে আসাদুলকে হাকিমপুর থানার বাংলা হিলি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, আসাদুলের ভাষ্য অনুযায়ী চুরির উদ্দেশ্যেই তারা ইউএনওর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় এই হাতুড়িপেটার ঘটনা ঘটে। তবে আমরা আরও সময় নিয়ে গভীর তদন্ত করে এই ঘটনার মুল মটিভ জানার চেস্টা করছি।
তিনি বলেন, সন্দেহভাজন্দের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসিটিভি ফুটেজে লাল গেঞ্জি পরিহিত ব্যাক্তি সে নিজে বলে স্বীকার করে। তার বক্তব্য অনুযায়ী লাল গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে অপর দুজন নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেফতারে অভিযান চালাই। তারা ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করলেও পরে তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হই।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক জানান, আসাদুলের বক্তব্য অনুযায়ী নবিরুল এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।
অপর আটক যুবলীগ নেতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনিসহ আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছিলো। পরে তাদের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বা অন্য কোন পরিচয় এখানে গ্রহণ যোগ্য না।
আপাতত আসাদুলের বক্তব্য অনুযায়ী এসভ তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা আরও গভীর তদন্ত করে দেখবো আর কেউ জড়িত আছেকিনা। প্রয়োজনে আরও কাউকে আটক বা রিমান্ডে নিয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এখনো চুড়ান্ত মটিভ বলার মত অবস্থায় পৌছাইনি।
এসময় র্যাব-১৩ এর উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।