সন্ত্রাসী হামলার শ্বীকার গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেজিষ্ট্রেট ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে নিজ বাড়ি থেকে এবং আসাদুল হককে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জে তার বোনের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার ৩ নং সিংরা ইউপি’র কশিগাড়ী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২) এবং অপরজন ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের সাগরপুর গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেনের ছেলে যুবলীগ নেতা আশাদুল (৪০) ।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে কশিগাড়ীর নিজ বাড়ি থেকে যুবলীগের আহব্বায়ক জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। অপর দিকে একই সময় এ ঘটনার অন্যতম আরেক আসামী আশাদুলকে পাশ্ববর্তী হাকিমপুর (হিলি) থেকে গ্রেফতার করেছে ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর থানার যৌথ দল।
ইউএনও ওয়াহিদা খনম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার।
বৃহস্পতিবার ৩ (সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, রংপুর ডিআইজির একজন প্রতিনিধি এবং দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ মাহমুদ
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আমরা ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে শনাক্ত করেছি এবং ভোর রাতে হামিকপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকারের নেতৃত্বে হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে এ ঘটনার অন্যতম আসামী আশাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন অপর আসামী যুবলীগের আহব্বায়ক জাহাঙ্গীরকে র্যাব-১৩ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী আশাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে বলেও নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।