মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিসকের অবহেলায় আহত রোগীর ৬ ঘন্টা আর্তনাদ। পরে রোগীর স্বজনদের আত্মচিৎকারে বাগানের মালীকে দিয়ে দায়সাড়াভাবে সেলাইয়ের চেষ্টায় উত্তেজিত জনতার হট্টগোল।
পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাপমারা এলাকার মৃত. আবদুল রাজ্জাক এর স্ত্রী আমেনা বেগম রবিবার বাম হাতের কব্জি কেটে দুপুর সাড়ে ১২ টায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে তার আত্মচিৎকারে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুপ্রিয়া পাল সোয়া ৬ টায় বাগানের মালী কাজল দাশকে দিয়ে দায়সাড়াভাবে ব্যান্ডেজ করেন। এ দৃশ্য দেখে স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ওই চিকিৎসক রোগী ও স্বজনদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন।
পরে উত্তজিত জনতা বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি সরজমিনে ছুটে আসেন এবং দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুপ্রিয়া পাল ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ জান্নাতুল নাঈম এর নিকট রোগীর চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি জানতে চান। এ সময় উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ অফিসার ( তদন্ত) নোঃ আমজাদ হোসেন হাসপাতালে আসেন। এ সময় চিকিৎসকদ্বয় সদোত্তর না দিয়ে রোগীকে চনপক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। পরে ডিউটির বাইরে থাকা চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ মহি উদ্দীন এসে গুরুত্বর আহত রোগীর কব্জিতে সেলাই করেন।
তিনি জানান,রোগীর বাম হাতের কব্জির রগ কেটে গেছে। উপজেলা হাসপাতালে এ ধরণের রোগীর সেলাই করা আসলে কঠিন।
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সেনাবাহিনী,জনপ্রতিনিধি,পুলিশ সরজমিন পরিদর্শন করেছেন।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রতন খীসা জানান, বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে দায়িত্বরতদের জবাবদিহিতায় আনা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, একজন আহত রোগী ৬ ঘন্টা হাসপাতালের বারান্দায় কাতরাবে আর দায়িত্বরা বাগানের মালি, পরিচ্ছন্নকর্মী দিয়ে দায়সারাবে এটা চিকিৎসার নামে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
এখন থেকে সকল চিকিৎসক কর্মস্থলে থাকাসহ উপজেলাবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সকল করনীয় জোরদার করা হবে।