সরকারী উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান ও ওই কাজের ঠিকাদারকে মারপিট করে চাঁদাবাজীর অভিযোগে পাবনার সাথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসিবুল খান ছানাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে সাথিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।
সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা আসাদুজ্জামান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডাস এন্ড কনসট্র্কসনস লিমিটেড সাথিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ করছেন। এরই জের ধরে ওই ঠিকাদারের নিকট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান ছানা বেশ কিছু দিন ধরে কাজ বন্ধ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান করে আসছিল।
এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে এমএম বিল্ডার্স এন্ড কনসট্রাকশন্স লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রল্লাদ কুমারকে ব্যাপক মারপিট করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বেলা তিনটার দিকে সাথিয়া বাইপাস সড়কে কাজ করছিল কিছু শ্রমিক। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসিবুল খান ছানা তার দলবল সাথে নিয়ে এসে শ্রমিকদের বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় শ্রমিকরা দিগি¦দিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতা দশ লক্ষ টাকা না দিলে কাজ করতে পারবেন না বলেও গালিগালাজ করতে থাকে।
পরে কয়েকজন শ্রমিক পাশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মেহেদী হাসানকে অবহিত করলে তিনি ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার পরামশ দেন। পরে তারা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ছানা সাথিয়ায় ছাত্রলীগের মান সম্মান ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহসও পায় না। ছানার মাস্তানী আচরণ আর গুন্ডামীতে অতিষ্ঠ পুরো এলাকাবাসী। ইতিপূবে সাথিয়ার রুবিয়া ক্লিনিকে লাশ ঠেকায়ে রেখে ৬ লক্ষ টাকা আদায় করা, মাদক সেবন ও ব্যবসা, ডানা মাছগ্রামে জমি দখল করাসহ নারী নিযাতনের অভিযোগ রয়েছে।
কে বলবেন কার কথা ছানাকে দিয়ে আমাদের বড় বড় নেতারাও প্রতিপক্ষকে মারপিট ও তাদের গাড়ি ভ্চাুর করার রেওয়াজ আছে। থানায় খুজলে তার বিরুদ্ধে প্রায় দেড় ডজন অভিযোগ পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র ছাত্রলীগ নেতা বলেওই সব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। সত্য্ইি বিষয়টি অত্যান্ত কষ্টের। এর নিরসন হওয়া দরকার বলে আমি একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে মনে করি।
এমএম বিল্ডাস এন্ড কনসট্র্কসনস লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রল্লাদ কুমার ঘটনার বিস্তারিত একটু পরে বলবেন বলে জানান। তিনি থানায় এই বিষয়ে এজহার লেখা নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা ছানার বিরুদ্ধে এছাড়াও বিভিন্ন অপকমের অভিযোগ রয়েছে। সাথিয়া পৌর এলাকায় এমন কোন কাজ নেই যে তিনি করেন না। তার বিরুদ্ধে নারী নিযাতন থেকে শুরু করে জবরদখর, চাদাবাজী, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।