বন্ধুর কিশোরী (২০) মেয়েকে ঢাকা থেকে গাজীপুরে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে এসে কৌশলে নেশা খাইয়ে গণধর্ষণ করেছে এক লম্পট।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারের পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার ঝর্ণা ভিলায় গত ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। গত ২৩ আগস্ট রবিবার রাতে মেট্রোপলিটন গাছা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো: মালেক খসরু খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার কদমতলী রায়েরবাজার থেকে প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বি-বাড়িয়া জেলার কসবা থানার সামাবাড়ী (বড়বাড়ী) এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ ভূইয়ার ছেলে সাফায়েদ উল্লাহ (সাফায়াত ভূইয়া) (৪০) এবং একই জেলার নবীনগর থানার টিয়ারা মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে রতন মিয়া (৪২)।
মেট্রোপলিটন গাছা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো: মালেক খসরু খান জানান, ভিকটিমের পিতা বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার ওয়াক্ফ গ্রামের আতিকুর রহমানের সাথে একই জেলার সামবাড়ী এলাকার সাফায়েত উল্লাহ সাফায়েত ভূইয়ার সাথে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি সুবাদে বন্ধুত্ব ও পারিবারিক ভাবে সু-সর্ম্পক গড়ে উঠে।
সেই সুবাদে সাফায়েত উল্লাহ সাফায়েত ভূইয়া তার বন্ধু আতিকুর রহমানের দুই মেয়েকে স্নেহ করত এবং মেয়ের আদরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেত। তেমনই ভাবে গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাফায়েত আতিকুর রহমানের বড় মেয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে ঢাকাস্থ নিউমার্কেট এলাকায় আসতে বলে।
পরে ভিকটিম (২০) ও তার ছোট বোন (১৪) সেখানে পৌঁছলে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ানোর পরে ভিকটিমদের সাফায়েত এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিভিন্ন রকম অনুরোধ করে। ঐ রাতে ঢাকা থেকে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার হায়দরাবাদ এলাকার রতনের কাছে সাফায়েত ভিকটিমদের নিয়ে আসে।
পরে সেখান থেকে রতন রিকসাযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার কামারের গলি ঝর্ণা ভিলায় ২য় তলায় সুমাইয়া আক্তার শিলার বাসায় নিয়ে যায়। এসময় সুমাইয়া আক্তার শিলার সাথে বগারটেক এলাকার জীবন নামের ১জন উপস্থিত ছিল।
পরে সুমাইয়া আক্তার ভিকটিম এবং বোনকে রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে বলে। পরেরদিন ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে ঐ বাসায় বিভিনś ধরনের দেশী-বিদেশী মদ নিয়ে ভিকটিমদের সেবন করতে বলে অভিযুক্তরা।
এসময় ভিকটিম (২০) ও তার ছোট বোন (১৪) কে বিভিন্ন ভাবে ফুঁসলিয়ে তাদেরকে মদ সেবন করায়। এক পর্যায়ে ভিকটিম নেশাগ্রস্ত হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ভোর ৪টার দিকে ভিকটিমের ঘুম ভাঙ্গলে সে দেখতে পায় তার পরনের সালোয়ার নেই যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছে।
ধর্ষক সাফায়েত ও রতন তার উরুর উপর মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এঅবস্থা দেখে ভিকটিম চিৎকার-চেঁচামেচি করলে তাকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকী দিয় বাসা থেকে বের করে দেয় সাফায়েত ও রতন।
এ ঘটনায় ভিকটিম ৪ জনের নাম উল্লেখ করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডি.এম.পি কদমতলী থানার রায়ের বাজার এলাকা থেকে ধর্ষক সাফায়েত ও রতনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে গত সোমবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।