বরিশালের উজিরপুরে ২ লম্পট কর্তৃক প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ীতে ফেরার পথে ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা রমেশ বাড়ৈ বাদী হয়ে ১২ আগষ্ট বুধবার বরিশাল আদালতে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে ২জনকে আসামী করে ধর্ষনের চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা পলাতক রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার জল্লা গ্রামের হতদরিদ্র রমেশ বাড়ৈর মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রীকে প্রথমে ৯ আগষ্ট রবিবার বিকেল ৫টায় বাড়ীতে একা পেয়ে পাশ^বর্তী বাড়ীর মৃত নলিনী মহুরীর ছেলে লম্পট শুকলাল মহুরী ও মৃত কমল মোহরীর ছেলে লম্পট শ্রীপতি মহুরী মিলে পানি পানের অজুহাত দিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে দুইজনে মিলে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রী ডাক চিৎকার শুরু করলে লম্পটরা দ্রুত পালিয়ে যায়।ঘটনার সময় ছাত্রীর বাবা-মা ধামুরা বাজারে ডাক্তারে কাছে গিয়েছিল।
এরপর একইদিনে রাত ৭টার দিকে ওই ছাত্রী তার বান্ধবীকে নিয়ে পাশের বাড়ির সুনিল মল্লিকের ছেলে অশ্রু মল্লিকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষ করে ৮টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে ওৎ পেতে থাকা ওই দুই লম্পট মিলে ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে উলঙ্গ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।
এসময় ছাত্রীর ডাকচিৎকারের শব্দ শুনে চাঁচা ব্রজেন বাড়ৈ ঘটনাস্থল ছুটে আসলে লম্পটরা পালিয়ে যায়।
পরে বিবস্ত্র অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার চাচাঁ বাড়ীতে নিয়ে যায়। এঘটনা ধামাচাঁপা দিতে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীরা মরিয়া হয়ে ওঠে।
বিষয়টি এলাকায় চাউর হওয়ায় লম্পটের পরিবার ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে ব্যর্থ হয়। এব্যপারে ছাত্রীর পিতা অসহায় রমেশ বাড়ৈ ১২ আগষ্ট বরিশাল আদালতে অভিযুক্ত শুকলাল মোহরী ও শ্রীপতি মোহরীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
এব্যপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান আদালত থেকে থানায় মামলার নথি আসলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।