গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পিকআপ চালকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিক। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) কলিম উদ্দিনের হাতে আবার ধর্ষণের শিকার হন ওই পোশাক শ্রমিক।
এ ঘটনায় শনিবার (২৫ জুলাই) কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে কলিম উদ্দিন (৪০), তার পিকআপ চালক একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পারভেজ আহম্মেদের (২৮) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারী। দুপুরে পিকআপ চালক পারভেজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন ওই নারী। কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে স্থানীয় পিকআপ চালক পারভেজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৮ জুলাই বাড়িতে ডেকে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পারভেজ। পরে তাকে রেখে পারভেজ পালিয়ে যান।
১৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে পিকআপ মালিক স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন পারভেজের বাড়ি গেলে বিস্তারিত ঘটনা জানান ওই নারী। ঘটনা শুনে পারভেজের বিচার ও তার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার আশ্বাসে ওই নারীকে মোটরসাইকেলে তুলে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গজারি বনের ভেতরে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যান মেম্বার। সেখানে ওই নারীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মেম্বার কলিম উদ্দিন।
ওই নারী বলেন, মেম্বার কলিম উদ্দিন ধর্ষণ শেষে আমাকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন তিনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় পোশাক শ্রমিক বাদী হয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কলিম উদ্দিন এবং পিকআপ চালক পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শনিবার দুপুরে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।