বরিশালের আগৈলঝাড়ার আহুতি বাট্টা গ্রামের রজত লাল হালদার রামশীল কলেজের সঙ্গীত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি ওই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আহুতি বাট্টগ্রামে এক ছাত্রীকে খাবারে সাথে নেশাজাতীয়দ্রব্য খাইয়ে অচেতকরে আবারও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে স্থানীয়রা জুতা পেটা করে এক মাসের জন্য সমাজ থেকে আলাদা করে এক ঘড়ে করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার আহুতি বাট্টা গ্রামের সুধীর রঞ্জন হালদারের ছেলে কোটালীপাড়া রামশীল কলেজের সঙ্গীত শিক্ষক রজত লাল হালদার সম্প্রতি (কয়েকদিন পূর্বে) সিঙ্গারার সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই বাড়ির এক স্কুলছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় গত ৯ জুলাই স্থানীয়রা তাকে (শিক্ষক রজতকে) জুতাপেটা করে এক মাসের জন্য সমাজ থেকে আলাদা করে এক ঘড়ে করে রাখে। ভুক্তভোগীদের অভিভাবক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রজত আমার মেয়েকে কু- প্রস্তাব দেয় তাতে সে রাজি নাহলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সিঙ্গারার সাথে চেতনানাশক ওষধ খাইয়ে মেয়েদের অজ্ঞান করে ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা করে।
সে অনেক মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছে, তার আত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এলাকার দুইটি মেয়ে এদেশ থেকে ভারতে চলে গেছে, আমরা তার বিচার চাই। এর আগে রজত লাল হালদার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এঘটনায় তার বিরুব্ধে বরিশাল নারী শিশু আদালতে একটি ধর্ষণের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ ছাড়া ও শিক্ষক রজত লাল হালদার একজন মাদকাসক্ত। নাম প্রকাশ না করার সর্থে স্থানীয় কয়েকজনে সাংবাদিকরে জানান, রজত একজন নারী লোভী ও মাদক সেবনকারি সে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তারা আরো বলেন, যার হাতে নারীদের নিরাপত্তা নেই সে কি ভাবে একটি মহিলা কলেজের শিক্ষকয়তা করেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষনের গুরুতর অভিযোগ থাকার পরেও কি ভাবে কলেজ শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকে। এ ব্যাপারে রামশীল কলেজের অধ্যক্ষ জয়দেব বালা বলেন, শিক্ষক রজতের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা শুনেছি। তিনি একজন চরিত্রহীন লোক। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো মামলা রয়েছে আদালতে।
তার (রজতের) জন্য রামশীল কজেটি কলঙ্কিত লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না, বিষয়গুলো তদন্তকরে তার বিরুব্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, রজত লাল হালদারের বিরুব্ধে একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। যা বর্তমানে বরিশাল আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ব্যপারে অভিযুক্ত রামশীল কলেজের সঙ্গীত শিক্ষক রজত লাল হালদার সাংবাদিকদের জানান, আমি মেয়েদের সিঙ্গারা খাইয়েছি তারা অজ্ঞানও হয়েছে এটা সত্য।
কিন্তু আমি তাদের ইজ্জত নস্ট করার চেষ্টা করিনাই। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা বরিশাল আদালতে চলমান রয়েছে এটাও সত্য।