নিজস্ব প্রতিবেদক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত দুটি ভবন—বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হল থেকে বসবাসরত কর্মচারীদের ১৫ জুনের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অচিরেই ওই স্থানে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসিক হল নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে বলা হয়েছে, নির্মাণকাজ নির্বিঘ্ন রাখতে উল্লিখিত ভবন দুটি খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ঈদুল আজহার ছুটির পরপরই ভবন ভাঙা ও পাইলিংয়ের মাধ্যমে অস্থায়ী হল নির্মাণকাজ শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সাময়িকভাবে দূর করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নোটিশ ইস্যুকারী রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘রেজিস্ট্রার স্যারের নির্দেশেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঈদের পরপরই কাজ শুরু হবে, তাই আগেভাগেই তাদের সরতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা আনঅফিশিয়ালি ওই হলগুলোতে থাকছেন। অনেক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই তাদের থাকার অনুমতি দিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, কেউ না থাকলে ভবনগুলো বেদখলের শিকার হতে পারে। এখন যেহেতু নির্মাণকাজ শুরু হবে, তাই নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে যেন তারা প্রস্তুতি নিতে পারেন।’
প্রয়োজনে মানবিক বিবেচনায় হল ছাড়ার সময়সীমা আরো ৫ দিন বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি। ‘উপাচার্য স্যারের অনুমতি পেলে কাজ শুরুর পরও সামান্য সময় বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে,’ বলেন শহীদুল্লাহ।