জবি প্রতিনিধি:
শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়,স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে তুলে ধরতে হবে। বিশেষ করে প্রাইমারি স্কুল গুলোতে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাই যে প্রাইমারির খুব কম সংখ্যক শিক্ষকই আছে যারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আলোচনা করে।তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ ও লালন করতে একাডেমিক চেতনা আরো জোরালো হওয়া দরকার।
গতকাল শনিবার রাত ৮ টায় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, একাডেমিক চেতনা, জাতীয় ঐক্য ও কলঙ্ক মোচন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্র্বেজারার অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কোন কিছুর বিনিময়ে নয়, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে হবে ভিতর থেকে, ভালোবাসা থেকে, বিবেক থেকে। কারণ এই বাংলাদেশ, বাংলাদেশের পতাকা আমরা বঙ্গবন্ধুর কারনেই পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে সকলেরই জানা উচিত। সর্বত্র বঙ্গবন্ধুর চর্চা হওয়া উচিৎ।
এসময় অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইসরাফিল আলম রাফিলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হুসাইন এর সঞ্চালনায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস।
আলোচনা সভায় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস বলেন, ১৫ আগস্ট যারা হত্যাকাণ্ড চালায় তারা বাঙালিমনা ছিল না। তারা ছিল পাকিস্তানমনস্ক । পাকিস্তানি ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। কার্যত এটিই এদেশকে বহুদূর পিছিয়ে দিয়েছে৷ পাকিস্তানি দোসরদের ধারণা ছিল শেখ মুজিবের আদর্শ এদেশে আর প্রতিফলিত হবেনা৷ তবে বাঙালি জাতি দেখিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমাহিত করা যায়না। এ জাতি বীরের জাতি৷
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন নাম। শেখ মুজিবকে সত্যিকার অর্থে ধারণ করতে হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন এই দেশ সোনার দেশ ও সুন্দর দেশ হবে। পাকিস্তানি ভাবধারা এখানে আসবেনা সেটিও তিনি বিশ্বাস করতেন ৷ ৭৫’এর পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২১ বছর পরাজিত শক্তি এদেশকে পেছনে টেনেছে। কারণ পরাজিত শক্তি এদেশকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি ।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিতে হিন্দু-মুসলমান বলে কোন জাতিভেদ ছিলো না।তিনি সবাইকে সমান চোখে দেখতেন। তার জীবনাদর্শের মধ্যেই জাতীয় ঐক্য খুজে পাওয়া যায়। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকের চর্চা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ প্রদান, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।