মোঃ সাইফ উদ্দিন রনী, কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান:
কুমিল্লা ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর হারুন বলেছেন, আমরা অনেক আশাবাদী। এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বা কোভিড প্রটোকল মেনে চলা গেলেই দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে। কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের অনেক উন্নত দেশ যখন জুবুথুবু তখন প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় আমরা শুরু থেকেই টিকার সংস্থান করতে পেরেছি।
সোমবার সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সার্বিক কার্যাবলি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিটি পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অপরিসীম অবদান, জেলা প্রশাসন, অন্যান্য বাহিনী ও সাংবাদিকদের কার্যক্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, দেশ এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে সমন্বিত কাজ করতে হবে। সবার একটাই লক্ষ্য দেশের সেবা করতে হবে। আর দেশের সেবা করতে হলে সরকারকে সমর্থন করতে হবে। যে কোন সূচকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা কাজ করছে। সুতরাং তাঁর নেতৃত্বে যে সরকার তাকে অবশ্যই আমাদের সমর্থন করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তিনি একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যত এবং উন্নত দেশ উপহার দিতে চাচ্ছেন- সেটা আমরা সমর্থন করবো এবং আমরা সবাই এক যোগে কাজ করবো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে সামরিক ও বেসামরিক সমন্বিত কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কুমিল্লা জেলার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির তথ্যও উপস্থাপন করা হয় সভায়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি-১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বী, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোঃ সাকিব হোসেন, সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইনসহ জেলাপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, স্বাস্থ্যবিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, কুমিল্লার করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলাতেই করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রের উন্নয়ণ করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসা সরঞ্জামে কিছুটা সংকট রয়েছে। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহ এবং জনবল স্বল্পতার মধ্যেও চিকিৎসা ব্যবস্থা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। কুমিল্লায় স্বাস্থ্যসেবায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী পর্যাায়ে ৫০ শতাংশ কম জনবল নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া করোনা টিকা কার্যক্রমও কুমিল্লায় সন্তোষজনক পর্যায়ে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।