শাহাদাত রাসেল চৌধুরী :
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও গভীর শ্রদ্ধা জানান সিঙ্গাপুর আওয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দ, এবং আগামীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাফল্য কামনা করে সরা বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বের সকল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে, সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল – আমিন বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠাকালে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং তরুণ নেতা জনাব, শামসুল হক ছিলেন প্রথম সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কারারুদ্ধ অবস্থায়। কারাগারে থেকেও নিজ যোগ্যতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবলে দলটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনোনীত হন তিনি। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। পরে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। দলের নাম রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। সময়ের পরিক্রমায় আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিতি পায় দলটি। আওয়ামী লীগ নামের সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি প্রতিষ্ঠান। এই দলের জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, তবু দলকে ছেড়ে যাননি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের যে আন্দোলন শুরু, হয় তা এখনো চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি সামলানোর চলমান লড়াইয়ের মাধ্যমে। এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা সময় ক্ষমতায় থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল তৈরী করেতে দিন, রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীন জনগন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি আস্তা ও বিশ্বাস রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে সহযোগীতা করবে বলে আমরা সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করছি।