আব্দুর রশিদ জীবন, রংপুর:
করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানা । লোকজনের আনাগোনা না থাকায় চিড়িয়াখানার প্রাণীরাও খাঁচায়
আছে মহানন্দে । বংশ বিস্তার করছে অনেক পশু পাখি ।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) রংপু্র চিরিয়াখানা গিয়ে দেখা যায় দু’বছর আগে দর্শনার্থীদের জন্য আনা উট পাখিটি গত দু’মাস ধরে মোট ৭টি ডিম দিয়েছে । তবে পুরুষ পাখির অভাবে ডিম ফুটে বেরুবেনা বাচ্চা । ডেপুটি কিউরেটর সূত্রে জানা যায় ফোটানো না গেলেও ডিমগুলো স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
উট পাখির তত্বাবধায়ক চান মিয়া বলেন, “এই মা পাখিটি বালু গোল করে তার উপরে প্রায় দেড় কেজি ওজনের ডিম দিয়েছে দেখে প্রথমে অবাক হয়েছি।”
খাদ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, পাখিটি আলফা ও নেপিয়ার ঘাস, বাধাকপি-ফুলকপি, লালশাক, পালং শাক ও পোল্ট্রি ফিড ও বাদাম খেয়ে থাকে।’
রংপুর বিনেদন উদ্যান ও চিড়িয়াখার জ্যু অফিসার ডা: এইচ এম শাহাদাৎ শাহিন বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, ‘ঢাকা থেকে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চে তিনমাস বয়সের বাচ্চা অবস্থায় এই উট পাখিটি আনা হয়েছে। দুই বছর পর গত মাস থেকে ডিম দেয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মোট সাতটি ডিম দিয়েছে এই পাখিটি। যার একেকটি ডিমের ওজন প্রায় ১ কেজি ৪০০-৫০০ গ্রাম।’
তিনি আরও বলেন, এই পাখিটির ওজন প্রায় ১২০ কেজি। দুঃখের বিষয় হলো পুরুষ পাখির অভাবে ডিম পাড়ার মধ্য দিয়ে বংশবৃদ্ধিতে আমরা নতুন কোন সফলতা দেখতে পাচ্ছি না রংপুর চিরিয়াখানায়।’
এবিষয়ে রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা: মো. আমবার আলী তালুকদার বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, ‘ মা উটপাখিটি গত মার্চ মাস থেকে ডিম দেয়া শুরু করেছে। পুরুষ পাখি না থাকার কারণে ডিমগুলো ফার্টাইল হচ্ছেনা। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরসহ ঢাকা চিরিয়াখানাতেও একটি পুরুষ পাখির জন্য আবেদন করেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনো পাঠানো সম্ভব হয়নি। পুরুষ পাখি আসলে পরবর্তী সময়ে ডিম দিলে তা ফুটিয়ে বংশবিস্তার সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।