ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও ১০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এমন এক সময় এ হত্যাকাণ্ডের খবর এসেছে, যখন দেশটির জান্তা সরকার বলছে, মানুষ শান্তি চায়। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কমে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনের বাগো শহরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে রাইফেল গ্রেনেড হামলা চানায় সেনারা। এতে মরদেহ প্যাগোডার কোণে স্তূপ করে রাখতে দেখা গেছে।
অনলাইন সংবাদ সাময়িকী মিয়ানমার নাউ ও মাউকুন জানিয়েছে, অন্তত ২০ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। তবে সেনাবাহিনী এলাকাটি ঘিরে রাখায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা পাওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজধানী নেপিডোতে এক সংবাদ সম্মেলনে জান্তা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। সরকারি মন্ত্রণালয় ও ব্যাংক পূর্ণোদ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড়ে এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৫টি শিশুও রয়েছে।
সেনাবাহিনী বলছে, তাদের কাছে ২৪৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড আছে। তারা বিক্ষোভে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও অস্বীকার করেছে।
সেনাবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে ১৬ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
জ মিন তুন বলেন, জনগণের সহযোগিতার কারণেই বিক্ষোভ কমে আসছে। কারণ, তারা শান্তি চায়। আমরা জনগণকে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা এবং তাদের সাহায্য করার অনুরোধ করছি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর দেশজুড়ে অব্যাহত বিক্ষোভ চলছে।