1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

সুমিতা দেবী চিরঅম্লান হয়ে থাকুক…. দর্শকদের মনে।

  • সময় : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪২৫

ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে হেনা ভট্টাচার্য,বিয়ে হয় অমূল্য লাহেড়ীর সঙ্গে। কিন্তু এই বিয়ে সুখের হয় নি,স্বামী ভারতে চলে যান। ভাগ্যের চাকা ঘুরে এলেন চলচ্চিত্রপাড়ায়। ফতেহ লোহানীর ‘আসিয়া’য় সুমিতা দেবী হয়ে নিজের নতুন নামে দর্শকদের সামনে এসেছিলেন। আসিয়া প্রথম চুক্তিবদ্ধ ছবি হলেও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ এ দেশ তোমার আমার’।

আসিয়া মুক্তি পায় ১৯৬০ সালে,ততদিনে মুক্তি পায় আরো দুইটি ছবি আকাশ আর মাটি,মাটির পাহাড়। আসিয়া মুক্তির পর বদলে যায় সুমিতা দেবীর নায়িকার ক্যারিয়ার। এফডিসিতে নির্মিত এই ছবি সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত,সেরা বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে ছবিটি প্রেসিডেন্ট পদক পেয়েছিল। খেতাব পান ফার্স্ট লেডি সুমিতা দেবী।

১৯৬১ সাল,অভিনয়ের ক্যারিয়ারই বলুন ব্যক্তিজীবন বলুন দুইটাতেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। জহির রায়হানের ‘কখনো আসেনি’,যা বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা ছবি হিসেবে স্বীকৃত। যুগের চেয়ে আধুনিক ধারার এই ছবি সব সময়ের দর্শকদের পছন্দের ছবি। একই বছরে বিয়ে করেন জহির রায়হান,ধর্মান্তরিত হয়ে নাম হল নীলুফার বেগম। তবে চলচ্চিত্রে সুমিতা দেবী নামেই রেখেছেন।

কাঁচের দেয়াল,ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয়ের ছবি। ততদিনে জহির রায়হানের সহধর্মিনী তিনি। ছবিটা আর্ন্তজাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত,দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলেন উনার অভিনয়। এই দেশের প্রথম রঙ্গিন ছবি জহির রায়হানের ‘সঙ্গম’ থেকে সোনার কাজল,সঙ্গে বেহুলার বিশেষ উপস্থিতি। দুই দিগন্ত তে তিনি স্মরনীয় হয়ে আছেন। বাংলা,উর্দু ছবি মিলিয়ে একের পর এক ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন।

১৯৬৭ সালে প্রযোজক হিসেবে আত্বপ্রকাশ করেন আগুন নিয়ে খেলা ছবির মাধ্যমে,এরপর আরো কিছু ছবি প্রযোজনা করেন। নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হলেও এই দেশের নায়িকাদের অগ্রপথিক হিসেবে তিনি বিশেষভাবে সম্মানিত। ওরা ১১ জন,সুজন সখী,দুই পয়সার আলতা,চিত্রা নদীর পাড়ে সহ অনেক ছবিতেই ছিলেন পার্শ্ব চরিত্রে।

সুমিতা দেবীর বিয়ে ভাগ্য সুখের হয় নি। জহির রায়হান বিয়ে করেন সুচন্দাকে,সুমিতা দেবী এইসবের কিছুই জানতেন না। যখন জানলেন তখন জহির রায়হানের বাড়িতে তড়িঘড়ি করে এসেছিলেন কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। ততদিনে কোল আলো করে এসেছে দুই সন্তান বিপুল আর অনল সঙ্গে প্রথম সংসারের সন্তান কল্লোল। স্বামীর ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে পড়েছিলেন অথৈ জলে। তবুও সামলিয়েছেন নিজেকে,নায়িকার ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে পার্শ্ব চরিত্র নিতে হয়েছিল সিনেমাতে। কিছু বছর বাদে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধ,নিজেকে জড়িয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে। বেতারের শব্দসৈনিক থেকে কলকাতায় নানান কার্যক্রমে যুক্ত থেকেছেন। স্বাধীনতার পর এফডিসিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। নিজের ছেলেদের বাবা জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক তদবির করেছিলেন,কিন্তু লাভ হয় নি। নায়ক সোহেল রানা,নূতনদের সিনেমায় এনেছেন তিনি।

২০০৪ সালের ৬ই জানুয়ারি দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে জীবনাবসান ঘটে এই কিংবদন্তির। বেঁচে থাকতে পান নি রাষ্ট্রীয় সম্মান,পান নি মরনোত্তর সম্মাননা। নায়িকাদের অগ্রপথিককে আজো দেয়া হয় নি একুশে পদক। যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন, নতুন প্রজন্মদের কাছে তিনি এখন অচেনা। সুমিতা দেবীর মূল্যায়ন করতে হবে দর্শকদের ই,তাকে যারা চিনেন,জানেন তাদের কে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪