প্রতি বছরের মতো বছরের প্রথম দিন নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত স্কুলগুলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ দিনে বই দেওয়া হবে। চট্টগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বই এসেছে ৮৫ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়েও বেশির ভাগ বই চলে এসেছে। স্কুল বন্ধ, নেই আয়োজন এরপরও বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা পাবে নতুন বইয়ের গন্ধ। স্কুলে স্কুলে তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার হাতে বই পৌঁছে দিতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুন্নেছা জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিনামূল্যে বই বিতরণের অনুষ্ঠান সবকিছু মেনে গ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেই আনন্দিত।
চট্টগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৬টি বই। বই এসেছে ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯টি বই। গত বছর বই উৎসবের আগে পুরোপুরি বই চলে আসলেও করোনায় এবার সেটা সম্ভব হয়নি।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল জানান, ইতোমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে গেছে। সেখানে প্রতিটি শিশুর জন্য বই আলাদা আলাদা প্যাকেটও তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা রয়েছে এক কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৫টি বইয়ের। চলে এসেছে বেশির ভাগ বই।
চট্টগ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে দুই কোটির বেশি বইয়ের চাহিদা রয়েছে।