1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফেব্রুয়ারি মাসেই অমর একুশে বইমেলা শুরু বিজয় দিবসে ৫৪ জনের প্যারা- জাম্পিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্বরেকর্ড আগামীকাল প্যারাজাম্প উপলক্ষে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশনের ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, আহত ৮ প্রার্থীরা চাইলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিতে পারবেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নবীনগরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহামেদ গ্রেপ্তার। পরিবারের দাবী গ্রাম্য রাজনৈতির প্রতিহিংসার শিকার

  • সময় : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৭৪৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে গত ১২ এপ্রিল দুই গ্রুপের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় (পা বিচ্ছিন্ন) নিহত মোবারক মিয়া (৪৫) খুনের মামলার প্রধান আসামী, বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার রাতে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র‌্যাব-৯ গ্রেফতার করেছে।


রাতেই নবীনগর থানার একটি পুলিশের টিম শ্রীমঙ্গল চলে যায়, আজ সোমবার ভোরে নবীনগর থানায় আনা হয় চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীনগর সার্কেলের দ্বায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মকবুল হোসেন ।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের কাউসার মোল্লা সর্দারের মাঝে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে,

গত ১২ এপ্রিল এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় মোবারক মিয়ার পা কেটে হাতে নিয়ে কাউসার মোল্লার লোকজন জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে। গুরুতর আহত মোবারক চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে তাকে কোপানোর সাথে জড়িত থাকা কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে গেছেন মোবারক। তারা হচ্ছেন,

থানাকান্দি হাতবাড়ি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন,হাজির হাটি গ্রামের মাইনুদ্দিনের ছেলে রুমান, জিল্লুরের ছেলে শাহিন, মালির ছেলে জাবেদ। আরো কয়েকজন ছিলো তাদের চিনতে পারেনি বলে সে জানায়। মোবাইলে ধারন করা মোবারকের এই বক্তব্যর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,

ওই মামলায় চেয়ারম্যান কবির আহমেদ কে আসামী করা না হলেও, এই ঘটনার ছয় দিন পর নিহতের চাচাতো ভাই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে এ হত্যা মামলায় পার্শ্ববর্তী বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা কবির আহমেদকে ‘প্রধান আসামি’ করে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলোচিত এ মামলায় বিবাদমান দুই গ্রুপের একটি গ্রুপের দলনতো কাউছার মোল্লাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

মোবারকের পা কাটার সময় প্রত্যক্ষদর্শী, তার স্ত্রী, ও মামলার বাদী কেউই কবির আহমেদকে ঘটনাস্থলে দেখেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। তারপরও কবির আহমেদ এই খুনের মামলার প্রধান আসামী কি করে হয়? এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম আলামিন আহমেদ বলেন, সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের কট্টর সমর্থক ও অনুসারী হওয়ায়,আমার ভাইকে হয়রানি করতেই বর্তমান এমপির লোকজন পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে সংঘটিত একটি খুনের ঘটনায় সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী করে তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন।

কোন অবস্থাতেই আমার ভাই এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত নয়। মারা যাওয়ার আগে খুনিদের নাম মোবারক নিজেই বলে গেছেন। মোবারকের কাটা পায়ের অংশ নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়া মাইনুউদ্দিনের ছেলে রুমানকে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪